চাঁদপুর সদর উপজেলার ঢালীরঘাট ও রঘুনাথপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাতের বসতবাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আগামি বর্ষার আগে এই এলাকায় ভাঙ্গনরোধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলে নদীতে বিলীন হতে পারে এই এলাকার জনপদ। এতে ভিটেমাটি হারানোর সংঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয় জনগণের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঢালীরঘাট এলাকায় চায়ের দোকান, মুদি দোকান, বালি-পাথর বিক্রিকেন্দ্রসহ প্রায় ৩০-৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু পানির স্রোত ও নদীতে চলাচলকারী জাহাজ ও নৌকার ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিনিয়ত ভাঙছে ডাকাতিয়ার নদীরপাড়।
ব্যবসায়ীরা তাদের নিজেদের উদ্যোগে নদীপাড় ভাংতি জায়গায় প্রায় ৩ হাজার বালির বস্তাসহ অস্থায়ীভাবে বাঁধ দিয়েছে। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে পানি বাড়লে এই ভাঙ্গনের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই এখনই কর্তৃপক্ষের নদী ভাঙ্গনরোধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থান নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো বর্ষার মৌসুমে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই অঞ্চলে পাটোয়ারী বাড়ি, গাজী বাড়ি, বেপারী বাড়িতে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ বসবাস করছেন। কিন্তু নদী ভাঙ্গনের ফলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। বর্ষার আগে কর্তৃপক্ষকে ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, ঢালীরঘাট ও ঢালীরঘাট সংলগ্ন রঘনাথপুর এলাকায় ডাকাতিয়া ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। আমরা ভাঙ্গনরোধে বরাদ্ধ চেয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষেন নিকট চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু করা হবে।
তিনি জানান, যদি এখন বরাদ্ধ না পাওয়া যায়, আর বর্ষায় ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়, তবে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
করেসপন্ডেট
১৩ মার্চ,২০১৯