আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এর কারণে সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও ঝড় ও অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় এ বিষয়ে ৩০ এপ্রিল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসন উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আয়োজনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ব্যবহার উপযোগী রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ওই জরুরি সভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, ১০৯০ তে ফোন করে দুর্যোগের আগাম বার্তা সম্পর্কে অবহিত হওয়া যাবে। জেলার চরাঞ্চলসহ যে কোনো এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ তে ক্ষতিগ্রস্ত হলে জেলা প্রশাসককে জানানোর জন্যে তিনি অনুরোধ করেন।
তিনি আরো জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে জেলাধীন উপকূলবর্তী উপজেলাসমূহের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার উপযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে এরইমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার, মেডিকেল টিম, ঔষধ ইত্যাদি প্রস্তুত রাখা হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের জন্যে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রস্তুত থাকবে। ক্যাবল নেটওয়ার্কে ঘূর্ণিঝড় ফণী সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানাতে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। যারা টেলিফোন নং- ০৮৪১৬৩৫৯৬, মোবাইল নং- ০১৭৩০ ০৬৭০৭৯ অথবার ০১৭১১২৪৫৯৫৪
এদিকে চাঁদপুর আবহাওয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. সোয়েব চাঁদপুর টাইমসকে জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “ফণি” দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। । সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার (পুনঃ) চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চাঁদপুরে এর প্রভাব কেমন হতে পারে এমন প্রশ্নে মি. সোয়েব জানান, সাধারণত সমুদ্রঅঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি হলে চাঁদপুরে এর প্রভাব পড়ে। সে হিসেবে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কি.মি গতিবেগে অবস্থান করছে। তাই চাঁদপুরবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন ছিলো ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিবেদক- দেলোয়ার হোসাইন
১ মে ২০১৯