চাঁদপুর

চাঁদপুরে ঝড়ে গাছপালা ও বসতঘরে ক্ষয়ক্ষতি : বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও ফেরী চলাচল

ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবের কারণে চাঁদপুরে থেকে থেমে ঝড়োবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। দমকা হাওয়ায় নদীতীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় গাছপালা ও বসতঘরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তবে কোথায়ও কোন বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটেনি। ১০ নভেম্বর রোববার চাঁদপুর শহরের বিভিন্নস্থানে ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে পুরাণবাজার নিতাইগঞ্জ পানগোলা এলাকায় বড় ৪টি চামরুল গাছ উপড়ে পড়ে ২টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিম শ্রীরামদী বুদাই বেপারী বাড়ির রাস্তার পাশের ৪টি গাছ উপড়ে পরে গেছে।

নিতাইগঞ্জ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মানিক দাস, রাজিব দেবনাথ ও দুলাল বেপারী জানান, দুপুরের পরে বাতাসের গতি বেড়ে গেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়রের সহোযোগিতা কামনা করেছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডব থেকে রক্ষায় মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলের সাড়ে ৫ হাজার বাসিন্দাকে সাউক্লোন সেন্টারে নিরাপদে রাখা হয়েছে।

দিনভর চাঁদপুরে থেমে থেমে বৃস্টি অব্যহত থাকায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে আসে স্থবিরতা। শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট, বিপনীবিতান দিনের বেলা খোলা হলেও সন্ধ্যা হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায়।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শোয়েব জানান, চট্টগ্রামসহ চাঁদপুর অঞ্চলে এখনো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত রয়েছে। চাঁদপুরে সকাল ১০টা পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ৭৮.৮৭ কিলোমিটার। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলার বৃষ্টি পাত বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকার্ড করা হয়েছে ১৯ মিলিমিটার।

অপরদিকে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে আসা এবং লঞ্চঘাটে প্রায় শতাধিক যাত্রী আটকে পড়েছে। তাদের চাঁদপুর পৌরসভা এবং স্থানীয়ভাবে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের ফেরী চলাচল। ফেরিঘাটের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে ৩শতাধিক গাড়ী আটকা রয়েছে।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম, চাঁদপুর

Share