কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদর থেকে শংকুচাইল পর্যন্ত সড়কটির রাজাপুর রেল স্টেশনের পাশে একটি সেতু ৫ বছর ধরে ভেঙ্গে আছে। প্রতিদিন ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। কিন্তু ভোক্তভোগীদেরও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর রেল স্টেশনের পাশ থেকে উপজেলা সদর আসার সড়কটির রাজাপুর এলাকায় সেতুটির মাঝখানের অংশ দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে আছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত গাড়িগুলো ব্রীজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
স্থানীয় রাজাপুর গ্রামের শাহআলম জানান, ৫ বছর পূর্বে ব্রীজের মাঝামাঝি স্থানে সর্বপ্রথমে ভাঙন দেখা দেয়। ধীরে ধীরে সেটি বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই ব্রীজটি দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৮ সালের প্রথম দিকে লাকসাম-আখাউড়া রেলওয়ের ডাবল লাইনের কাজের ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ তাদের মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে ভাঙ্গা অংশে স্টিলের পাত লাগানো হেয়। এতে পুনরায় ওই সড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
বর্তমানে ব্রীজের স্টিলের নড়বরেপাতগুলোর ওপর দিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন।ফলে যে কোনো সময় ব্রীজটিতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ওই সড়কে সিএনজি চালক আবুল কালাম জানান, বুড়িচং থেকে শংকুচাইল পর্যন্ত ওই সড়কটিতে প্রতিদিন সহস্রাধিক সিএনজি, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেলে করেন হাজার-হাজার মানুষ চলাচল করে। ওই ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
ওই সড়কে চলাচলরত ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম বলেন,‘সড়কটি দিয়ে রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল, হায়দ্রাবাদ, পাঁচোড়া, নবীয়াবাদ, শংকুচাইল, ঘিলাতলা, দক্ষিণ গ্রাম, উত্তর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো লোকজন উপজেলা সদরে যাতায়ত করেন। ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকার কারনে যাতায়তে সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা দ্রুত ব্রীজটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জিহান আল তুহিন বলেন,‘ ব্রীজটির জন্যে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে নতুন ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু করবো।’
জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল,২৫ আগস্ট ১৯