কুমিল্লার সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের ধনুয়াখলা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকলী আক্তার (২৫) নামে দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের কামারবাগ গ্রামের মোঃ শাহ আলম কালু মিয়ার মেয়ে কাকলী আক্তার এর সাথে একই ইউনিয়নের ধনুয়াখলা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে শাহ আলম কালুর বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের সংসারে দুটি মেয়ের জন্ম হয়। মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়ার কারনে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন কাকলী আক্তারকে প্রায়ই মারধর করতো।
২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে কাকলী আক্তার তার মা সুফিয়া বেগমকে ফোন দিয়ে তাকে মারধর করার বিষয়টি জানায়। দুপুরে পুনরায় ফোন দিয়ে তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে মাকে জানান কাকলী। বিকেলে তাঁর মা সুফিয়া বেগম কাকলীর শ্বশুর বাড়ীতে এসে দেখে বাড়ীর আঙ্গিনায় কাকলীর লাশ পরে আছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে কাকলী আক্তারকে তার স্বামীÑশ্বশুর কাবিলা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় সেখানে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে পরিবারের সদস্যরা কাকলীর লাশ বাড়িতে ফেরে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় কোতয়ালী থানাধীন নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট, ২৪ অক্টোর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur