চাঁদপুর জেলায় বৈধ এবং অবৈধভাবে চলাচল করছে কয়েক হাজার সিএনজি। বিভিন্ন সূত্রে যার হিসেব পাওয়া যায় ১০ হাজারেরও অধিক। অথচ এর মধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অর্থরটি (বিআরটিএ) থেকে সিএনজির বৈধ লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৬ হাজার ৭ শত ১টি।
কিন্তু ৬ হাজারের বেশি সিএনজির লাইসেন্স থাকলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে মাত্র ৫শ’ জনের। ফলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালকের কারনে প্রতিনিয়ত সড়কে তাজা প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় এ তথ্য দেন জেলা বিআরটিএ সহকারি মটরযান পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন। সভায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ মোটরজান, অদক্ষ চালকের বিষয়ে কথা উঠে আসে।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সভায় এ ব্যপারে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমন।
এসময় তারা বলেন, পুরো জেলায় কয়েক হাজার সিএনজি রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রয়েছে ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন। বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স নিয়েছে ৫ হাজারের বেশি। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েছে ৫শ টি। এছাড়া একটি সিএজির চালক থাকে কমপক্ষে ৩ জন। তাহলে বুঝতে বাকি নেই জেলায় কতজন অদক্ষ চালক রয়েছে। এরাই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এ সকল সিএনজি চালকরা আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলোতে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। কাউকে তোয়াক্বা করছে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।
এ ব্যপারে বিআরটিএ সহকারি মটরযান পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন বলেন, জেলায় লাইসেন্সকৃত সিএনজির সংখ্যা ৬ হাজার ৭শ’ ০১টি। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে ৫ শ’ টির। সভায় এ ব্যপারে দূর্ত গতিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদার করেছেন জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনগাঁও নামকস্থানে বাস সিএনজি স্কুটারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা সহ ২ জন নিহত হয়। আহত হয় আরো ৩ জন।
জানা গেছে ওই ঘটনার সিএনজির চালক ও ঘাতক বাস চালক করোই বৈধ লাইসেন্স ছিলো না।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
১৩ জুন ২০১৯