Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরসহ পিডিবি’র পিচরেইট মিটার রিডারগণের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি
চাঁদপুরসহ পিডিবি’র পিচরেইট মিটার রিডারগণের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি, চাঁদপুরসহ পিডিবি’র পিচরেইট মিটার রিডারগণের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি, মিটার
ফাইল ছবি

চাঁদপুরসহ পিডিবি’র পিচরেইট মিটার রিডারগণের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি

দেশের বিদ্যুৎ উন্নয়নের বোর্ডের (পিডিবি)পিচরেইট মিটার রিডারগণ দীর্ঘদিন যাবৎ সততা ও নিষ্ঠার সাথে রোদ-বৃষ্টি ঝড়-বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে মিটার রিডিং গ্রহণ ও বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সরকার দেশের সিস্টেম লজ কমানোর জন্যে গ্রাহকদের ঘরে ঘরে পূর্বের মিটার খুলে চাঁদপুরসহ পূর্বাঞ্চলের ৮ জেলায় প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে। আধুনিক প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাবের বদৌলতে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনকে পিচরেইট মিটার রিডারগণ সাধুবাদ জানালেও এ অঞ্চলের কয়েক শ’ পিচরেইট মিটার রিডার এতে বেকার হয়ে পড়ে। ব্যাপারটি দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের পরিপন্থি ।

এদের মধ্যে কারো কারো চাকরির বয়স ১৫-১৬ বছর পেরিয়ে গেছে। কারো আবার ২০-২৫ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের এখন অন্য কোনো পেশায় প্রবেশ করে উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।

পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যাক্তি যদি এ বয়সে বেকার জীবন যাপন করে বিষয়টি তাহলে খুবই বেদনাদায়ক। ফলে আড়াই বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে।
এমন কি অনাহারক্লিষ্ট দিন অতিবাহিত করছেন বলে বেশ ক’জন পিচরেইটমিটার রিডার মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর টাইমসকে জানান।

‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ;ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’সরকারের এ শ্লোগান কে বাস্তবায়ন করতে অন্যান্য বিদ্যুৎ বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী গণের মত তারাও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। আজ যেখানে সরকার প্রতি ঘরে ঘরে একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে শত শত মিটার রিডারদের কোনোই বিকল্প ব্যবস্থা না করায় বেকার হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাও এ বিভাগটির দায়িত্বে রয়েছেন খোদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পিচরেইট মিটার রিডারগণ বর্তমানে বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। আধুনিক প্রযুক্তি তাদের রুটি-রোজির পথ বন্ধ করে দিয়েছে। চাঁদপুরে ৬০ হাজার গ্রাহকের মিটার পরিবর্তন করে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছে।

তারা এ গ্রাহকদের বিলের কাগজ পৌঁছানো বাবদ ২.২৫ টাকা ও মিটার রিডিং করে তারা পেত ৩.৫০ টাকা। চাঁদপুরে এদের সংখ্যা ২৫-৩০ এর মত। এদিয়েই তাদের সংসার,ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ,চিকিৎসা ও অন্যান্য সামাজিক সব কাজ কর্ম চালিয়েছে ।

এরইমধ্যে তারা বিহীত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ঠ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় সাংসদ,মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করে তাদের দু:খ-দুর্দশার কথা জানিয়েছেন।পোস্টার ও র্রি-প্লেটের মাধ্যমে তাদের অভাব-অভিযোগের কথা জানিয়েছেন ।

তাদের দাবি বেকার সমস্যা সমাধানে পিচরেইট মিটার মনিটরিং বা বিদ্যুৎ বিভাগের অন্য যে কোনো দায়িত্ব প্রদান করে তাদের জীবিকা অর্জনের একটা ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।

আবদুল গনি,১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।