চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের আহম্মদপুর গ্রামের হাজী ইসমাইলকে (৬৫) খুঁজে পায়নি তার পরিবার। হাজী ইসমাইলের পায়ের দুটি আঙুল জোড়া লাগানো ছিল।
ঢাকায় বসবাসরত ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস হরাজি জানান, গত দুদিন থেকে হাজী ইসমাইলের স্ত্রী রোকেয়া বেগমসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকার হাসপাতালের মর্গে লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
কিন্তু কোনোভাবেই তার খোঁজ মেলেনি তার। হাজী ইসমাইলের পায়ের দুটি আঙুল জোড়া লাগানো ছিল। কিন্তু সেটি শনাক্ত করতে পারলেও নিশ্চিত করা যায়নি হাজী ইসমাইলের লাশ। এখন ডিএনএ পরীক্ষার অপেক্ষায় স্বজনরা। নিহতের গ্রামের বাড়ি আহম্মদপুর ছয়আনি বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার চাচা আবুল হাসানের সঙ্গে।
তিনি জানান, হাজী ইসমাইল হাজীগঞ্জ উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের মৃত হাজী ইসকারের ছেলে। তিন ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি বড়। গরিব পরিবারের সন্তান হাজী ইসমাইল পাকিস্তান আমলে এসএসসি পাস করে পালিয়ে যান ঢাকায়।
সেখানে গিয়ে ঢাকার বকশীবাজারের বুলবুল হাজী নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওই দোকানে চাকরি শুরু করেন। সে থেকে দিনে দিনে তিনি হয়ে পড়েন দুটি ফ্যাক্টরির মালিক। চকবাজারেও তার একটি প্লাস্টিকের দোকান ছিল। ঘটনার দিন ওই প্রতিষ্ঠানেই তিনি বসেছিলেন। তার পরই শেষ হয়ে যায় সব কিছু।
জীবদ্দশায় সাত বার হজ পালন করেছেন তিনি। এ এলাকায় তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দানশীল হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে স্ত্রীসহ এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে তার।
বার্তা কক্ষ
২৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৯