চাঁদপুরে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি ও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি এর যৌথ আয়োজনে সাহিত্য একাডেমির শনিবার ৫ অক্টোবর বেলা-৫ টায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রিয় শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক বাকশিস কেন্দ্রিয় কমিটির সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন-চাঁদপুর জেলা সমন্বয়কারী জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী কমিটি ও বাকশিস সাধারণ সম্পাদক প্রবীন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সাফায়াত আহম্মদ ভূঁইয়া।
বাকশিস নেতা অধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক বাকশিস কেন্দ্রিয় কমিটির অধ্যাপক মোশারফ হোসেন,প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সফিউল আলম শাহজাহান, অধ্যক্ষ এম.এ মালেক, অধ্যক্ষ মনিরুল হক পাটওয়ারী ও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও সদরের সভাপতি কানিজ বতুল চৌধুরী।
আরো বক্তব্য রাখেন-অধ্যাপক ল্যাফ মো.সোহেব আহম্মদ,অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, অধ্যাপক শান্তি রঞ্জন দে, অধ্যাপক শাহমুব জুয়েল, কারিগরী কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো.নুরুল আমিন পাটওয়ারী, অধ্যাপক মো.আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক গোলাম সরোয়ার,অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল গনি,হাইমচরের সভাপতি আবুল খায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আক্কাছ, যুগ-সাধারণ সম্পাদক মুজাম্মেল হোসেন ঢালী।
বক্তারা ‘তরুণ শিক্ষকরাই এ পেশার ভবিষ্যৎ’-প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর প্রাণবন্ত আলোচনা করেন। এর ঐতিহাসিক গঠন, ইউনেস্কোর অবদান ও শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখতে শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান। বক্তারা আগামি ২০২০ সালে বিশ্ব শিক্ষক দিবস আড়ম্ভরপূর্ণ পরিবেশে উদ্যাপনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত , ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-‘তরুণ শিক্ষকরাই এ পেশার ভবিষ্যৎ । দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্যে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যথাযখ সম্মান ও মর্যাদায় পালন করা হয়। কেননা পৃথিবীর সব দেশের সমাজের কাজে শিক্ষক দিবসটি অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদার বিষয়। আর এ প্রতিপাদ্য বিষয়টি নির্ধারণ করে আন্তর্জাতিক শিক্ষক সংগঠন এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ।
ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের ১ শ’৬৭ টি দেশের এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এ দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪শ’১ টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। এ সংগঠনটি বিশ্বের ৩ কোটি ৫০ লাখ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করে।
দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতার মত পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়টি আগামি দিনের শিক্ষকদের মহান এ পেশা ও পেশার মান বজায় রাখতে তরুণ শিক্ষকদের ওপর দায়িত্ব চলে আসছে। একটি দেশের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে শিক্ষার বিকল্প নেই। সমাগ্রিক দেশের উন্নয়ন শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল। এ শিক্ষাব্যবস্থা আজ সরকারের শিক্ষা বিভাগ,গোটা শিক্ষক সমাজ ,অভিভাবক, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষানুরাগীগণ চালিয়ে আসছেন। মূলত: শিক্ষার সকল প্রকার কারিকুলাম শিক্ষকগণ বাস্তবায়ন করেন।
দিবসটি পালনের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। আন্তর্জাতিক এ সংগঠনটি জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলো কর্তৃক প্রণীত দলিলটি যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করার অর্থবহ উদ্যোগ গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬ তম অধিবেশনের গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ইউনেস্কোর তৎকালীন মহাপরিচালক ড. ফ্রেডারিক এম মেয়রের ঘোষণার মাধ্যমে ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালনের শুভ সূচনা হয়।
১৯৯৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কিত সাফল্যকে সমুন্নত রাখাসহ আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে বর্তমানে বিশ্বের ১ শ’৬৭ টি দেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি , ৫ অক্টোবর ,২০১৯