চাঁদপুরে শহরের শহরের মাদ্রাসা রোড়ে দিনে-দুপুরে এবার ফ্ল্যাট বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল জানালার গ্রিল কেটে আলমারির তালা ভেঙ্গে নগদ ২ লাখ টাকা ২০ ভড়ি স্বর্ণ এবং মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়েছে।
পূর্ব থেকে সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড় টার সময় ওই এলাকার হাজী ওচমান গণির মালিকানাধিন নিঝুম ভিলা নিচ তলার ভাড়াটিয়া সাইফুল ইসলামের ফ্লাটে এই ঘটনা ঘটেছে।
একই সময়ে পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া মোতায়ন ইসহাক হোসেনের ফ্লাটের জানালার গ্রিল কাটা এবং ঘরের বিছানাপত্র এলোমেলে থাকলেও কিছুই চুরি না হওয়ায় এ নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
এছাড়া চুরির সময় বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীও অন্যত্র থাকায় এই ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর সাথে প্রতিবেশী কেউ জড়িত ছিলো বলে ধারণা করছে প্রতিবেশীরা।
এদিকে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর আবদুল রফ ও এসআই সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপার্থ সংগ্রহ করেছেন।
বাসার ভাড়াটিয়া শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের নিউ শান্তা ফোমের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ দুপুরে আমি এবং তার স্ত্রী ফাহিমা ছোট সন্তান মানহার চিকিৎসার জন্য চাঁদপুরে সদর হাসপাতালে যাই। এই সুযোগে চোরের দল বাসার পিছনের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে আসবাপত্র তছনছ করে। তারা আলমারি ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকা ২০ ভড়ি স্বর্ন, ১লাখ টাকার একটি এফডিআর এর চেক ও ১টি স্যামসং মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। দুপুর ২ টায় বাসায় এসে সবকিছু তছনছ অবস্থায় দেখতে পাই।’
এ বিষয়ে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার সময় সাড়ে ১২টার দিকে আমি বাড়ির মালিকের ছেলের অফিসে গিয়েছিলাম। পরে দেড়টার সময় ফিরে চুরির বিষয়টি জানতে পারি।’
বাড়ির মালিক হাজি ওচমান গণি বলেন, ‘এই বাড়িতে সব মিলিয়ে ২১টি পরিবার থাকে। এই ঘটনা শুনে আমি নিজেও মর্মাহত। তিনি বলেন, এই এলাকায় কিছু উশৃঙ্খল যুবক রয়েছে। তারা মাদকাসক্ত। তাদের বিষয়ে আমি অনেক আগেই কমিউনিটি পুলিশকে অবগত করেছি। তিনি ধারণা করছেন চুরির সাথে ওই চক্রটি জড়িত রয়েছে।’
এতো বড় বাড়িতে ২১টি পরিবার বসবাস করছে, যাদের থেকে সব মিলিয়ে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকার মতো ভাড়া আসে অথচ বাড়ির গেইটে সিসি ক্যামেরা নেই কোনো?
এমন প্রশ্নের জবাবে হাজি ওচমান গণি বলেন,বাড়িতে আবার সিসি ক্যামেরা কেনো লাগাবো। আমি ২৪ ঘন্টার জন্য একজন দাঁড়োয়ান রেখেছি।
চাঁদপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর আবদুল রফ জানায়, চুরির ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার সাথে পাশের বাসার লোকজন জড়িত থাকতে পারে।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম
১৮ ডিসেম্বর,২০১৮