মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় বর্ষণের কবলে রয়েছে চাঁদপুর। একইসঙ্গে চাঁদপুরসহ দেশের সবক’টি নদীবন্দগুলোর জন্যও দেখাতে বলা হয়েছে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত।
চাঁদপুর জেলায় দু’দিনে বৃষ্টিপাত ছিলো ৩৩ মিলিমিটার। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর ছিলো ২০ মিলিমিটার আর ১ অক্টোবর ছিলো ১৩ মিলিমিটার। বিষয়টি চাঁদপুর আবহাওয়া বিভাগের পর্যবেক্ষক হাসানুজ্জামান চাঁদপুর টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়া অফিস বুধবার ২ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত দেয়া এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সে সঙ্গে বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
তবে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের কোনো সতর্কতা দেয়নি আবহাওয়া অধিদফতর।
নদীবন্দরগুলো জন্য ১ নম্বর সতর্কতা দিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে,মঙ্গলবার ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বগুড়া, ময়মনসিংহ, পাবনা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামি তিনদিনে হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে পদ্মানদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়েছে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামি ২৪ ঘণ্টা পানি বাড়বে। বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কায় এরইমধ্যে চরাঞ্চলের মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া বিভাগে সদ্য যোগদানকৃত পর্যবেক্ষক হাসানুজ্জামান চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘চাঁদপুরে আরো দু’তিনদিন বৃষ্টি থাকবে। নদী বন্দরকে ১ নং সতর্ক
সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট, ১ অক্টোবর ২০১৯