রাজধানী ঢাকায় ক্লাব-ক্যাসিনোগুলোতে একের পর এক র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসকল অভিযানে ধরা পড়ছে আন্ডার ওয়াল্ডের বড় বড় রাঘববোয়াল বা মাফিয়ারা। সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও এমন অভিযান শুরু হয়েছে।
এতে করে অাতংকে রয়েছে ক্লাবগুলো। বিশেষ করে যেসকল ক্লাবগুলোতে এতোদিন রাতভর জমজমাট জুয়ার আসর বসতো সেগুলোতে এখন সন্ধ্যার পরেই নেমে আসে নিরবতা। আলোহীন ক্লাবগুলোতে নির্জীব পরে থাকছে রাতভর। আর চিহ্নিত জিয়ারিদের অনেকেই দিয়েছে গা-ঢাকা।
চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মো. মাহাবুবুর রহমানের নির্দেশে ২১ সেপ্টম্বর রাতে শহরের সবগুলো ক্লাবে অভিযান করেছে মডেল থানা পুলিশ। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সোনালী অতিত ক্লাব, ভাই ভাই স্পোটিং ক্লাব। নতুনবাজার ক্রীড়চক্র, পূর্বশ্রীরামদী ক্লাব ও বাবুরহাট একাদশসহ বেশকিছু ক্লাবে অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে বাবুরহাট একাদশ ক্লাব থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ জুয়ারিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুকমার কর রামু (৫৫), চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি যুবরাজ চন্দ্র দাস (৫০), সদরের আশিকাটি ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান মাল (৫৪), দক্ষিণ দাসদী গ্রামের ছিদ্দিক মিজি (৫০), শিলন্দিয়া এলাকার ইমদাদুল হক পাটওয়ারী (৫৫), একই এলাকার সেলিম মিজি (৬০), দক্ষিণ দাসদী গ্রামের ইসমাইল শেখ (৫০), দাসদী গ্রামের দুলাল ধর (৫৬) ও হোসেনপুর গ্রামের বশিল সৈয়াল (৬৫)।
আটক ৯ জুয়ারির মধ্যে ৭ জুয়ারিকে ৩ দিন করে কারাদণ্ড এবং দুই জুয়ারিকে অসুস্থ্য থাকার কারণে পারিবারিক আবেদন করায় জরিমানা করে জামিন দিয়েছে চীফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরে আলম এই রায় দেন।
জামিন প্রাপ্তরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সুকমার কর রামু (৫৫) ও শিলন্দিয়া এলাকার ইমদাদুল হক পাটওয়ারী (৫৫)।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি যুবরাজ চন্দ্র দাস (৫০), সদরের আশিকাটি ইউনিয়নের মো. আব্দুল মান্নান মাল (৫৪), দক্ষিণ দাসদী গ্রামের ছিদ্দিক মিজি (৫০), শিলন্দিয়া এলাকার সেলিম মিজি (৬০), দক্ষিন দাসদী গ্রামের ইসমাইল শেখ (৫০), দাসদী গ্রামের দুলাল ধর (৫৬) ও হোসেনপুর গ্রামের বশিল সৈয়াল (৬৫)।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে বেশকিছু ক্লাবে কোনো প্রকার ক্রীড়াকর্মকান্ড না থাকলেও প্রতিরাতেই বসতো জুয়ার আসর। জুয়ার সাথে মাদকের সেবনের আসরও বসতো কোথাও কোথাও। এসব জুয়ার আসরে আসা রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি মাদককারবারীদের আনাগোনা বেশি দেখা যেতো।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯