চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলা, ৭টি পৌরসভা, ৮৯টি ইউনিয়ন ও ১ হাজার ৩৬৫টি গ্রামে ২৫ লাখ মুসলমানের জন্যে ৪ হাজার ৮৪২টি মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদে সারা বছর ৫ ওয়াক্ত আজান ও নামাজ আদায় করা হলেও পবিত্র মাহে রমজানে মুসল্লিদের সমাগম বাড়ে।
নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে গ্রাম ও শহরের কিছু মসজিদে রয়েছে শীতাতপ (এসি) নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা। প্রতিটি মসজিদে রয়েছে একজন খতিব বা পেশ ইমাম ও একজন বা একাধিক মুয়াজ্জিন। এসব মসজিদের বেশিরভাগ ইমাম বা খতিব ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও কওমি মাদরাসার আলেম।
চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান মতে, চাঁদপুর সদরে ৬৬৭টি, মতলব দক্ষিণে ৪৫৫টি, মতলব উত্তরে ৫৭৬টি, হাজীগঞ্জে ৬ ২৬টি, ফরিদগঞ্জে ৯৬০টি, কচুয়ায় ৮ ৭১টি, শাহরাস্তিতে ৪৩৩টি এবং হাইমচরে ২৫৪টি মসজিদ রয়েছে। অধিকাংশ মসজিদেই জুমার নামাজ হয়।
জেলার বিখ্যাত মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, অলিপুর শাহ আলমগীরী মসজিদ, আলীগঞ্জ মাদ্দাখা মসজিদ, চাঁদপুর পৌরসভায় বাইতুল আমিন মসজিদ, বেগম মসজিদ, চিশতিয়া মসজিদ, পুরাণ বাজার জামে মসজিদ, চেয়ারম্যান ঘাট বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, কালেক্ট্ররেট জামে মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড গোরে-এ গরীবা জামে মসজিদ, বাবুরহাট জামে মসজিদ, আবদুল করীম পাটওয়ারী জামে মসজিদ, বড়স্টেশন জামে মসজিদ, দাসাদী জামে মসজিদ ও কল্যান্দী জামে মসজিদ।
ইফার দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ১ হাজার ২৩৬টি মসজিদে রয়েছে শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম। মসজিদের ইমামরা সেখানে দ্বীনি শিক্ষাসহ শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত ও নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
চাঁদপুর ইফার উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের মাধ্যমে এ শিশু ও গণশিক্ষালয়ে শিশুরা নৈতিক শিক্ষা পাচ্ছে ও শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শিশু ঝরে পড়ারোধ হচ্ছে, পড়াশুনায় আগ্রহ বাড়াচ্ছে ও শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষার সুযোগ লাভ করছে।’
চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব রহমান বলেন,‘দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলায় ১টি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। জেলার মতলবের ছেঙ্গারচর উপজেলায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদ।’
আবদুল গনি
১৪ মে ২০১৯