চাঁদপুর

নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে যেসব দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ চাঁদপুরের সাংবাদিকরা

চাঁদপুর শহরকে ভাঙন থেকে বাঁচাতে আমিরাবাদ থেকে হরিণা পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম।
এ ছাড়া শহরকে রক্ষার স্বার্থে মোলহেডের সামনে জেগে ওঠা চর কেটে ফেলা এবং বালু সন্ত্রাস বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভাঙনের শিকার মানুষকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, পুনর্বাসন এবং ভাঙনরোধে বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তাদের।

সংগঠনের আহ্বায়ক দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মিজান মালিক এবং সদস্যসচিব বার্তা সংস্থা ইউএনবির মফস্বল সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের প্রধান রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষে এ আহ্বান জানান।

শনিবার রাতে হঠাৎ করে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। মুহূর্তে তলিয়ে যায় পুরানবাজার হরিসভা এলাকার প্রায় ২০০ মিটার। এতে ১৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মেঘনায় একাধিক ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন।

রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকার সেমিপাকা ও টিনের ১৫টি বসতঘর ভেঙে মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

হুমকির মুখে রয়েছে এলাকার ৪টি মন্দির ও চলাচলের সড়কসহ বহু স্থাপনা। অনেকে তাদের বসতঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে ওই এলাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

রাতেই স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনস্থলে বালি ভর্তি ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে।

তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং কোস্টগার্ডকে ধন্যবাদ জানায় সংগঠনটি।

এ ছাড়া পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজীত রায় নন্দী ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ চাঁদপুরের সাংবাদিকদের এই ফোরাম।

তবে মেঘনার গ্রাস থেকে শহরকে বাঁচাতে আমিরাবাদ থেকে হরিণা পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ৫ আগস্ট ২০১৯

Share