Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ডাক্তারের ভুলে রোগী মৃত্যুশয্যায়
doctor

চাঁদপুরে ডাক্তারের ভুলে রোগী মৃত্যুশয্যায়

চাঁদপুরে সার্জারি ডাঃ হাসানুর রহমানের গাফিলতির কারণে শাহানাজ বেগম নামের এক রোগী মৃত্যুশয্যায় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার(২৯ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় শহরের স্টেডিয়াম রোডের মুন হসপিটালে (প্রাঃ) শাহানাজ বেগমের জরায়ু টিউমার অপারেশন না করে পেট কেটে সেলাই দিয়ে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান সার্জারি ডাঃ হাসানুর রহমান।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ডাঃ নূরুল হূদা, ডাঃ মাহমুদুন নবী মাসুম, ডাঃ মনিরুল ইসলাম, ডাঃ হাসানুর রহমানসহ রোগীর স্বজনরা বৈঠকে বসেন এবং রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়।

শাহানাজ বেগম লক্ষীপুর ইউনিয়নের কোটরাবাদ এলাকার আবু তাহের মিজির স্ত্রী।

ছেলে শামিম মিজি জানায়, জরায়ু সমস্যার কারণে আমার মাকে ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়ার কাছে নিয়ে গেলে, ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়া দি কমফোর্ট প্যাথলজিক্যাল ল্যাব আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্যে বলেন।

পরে তার কথা মত আমরা সেখানে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর পুনরায় রিপোর্ট নিয়ে তার কাছে যাই। ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়া অপারেশন করার নির্দেশ দিলে আমরা রোববার মুন হসপিটাল (প্রাঃ) মাকে ভর্তি করি। মা মহিলা চিকিৎসক দিয়ে অপারেশনের কথা বলেছেন বললে, ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়া এ কথা শুনে নিজে এবং তার স্বামী অপারেশনের সময় থাকবেন বলে আমাদেরকে কথা দিয়েছেন। কিন্তু ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়া অপারেশনের সময় অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন না।

ছেলে বলেন, চিকিৎসকের কথা মতো আমরা আল্ট্রা করালাম। নির্দিষ্ট সময়মত অপারেশনের জন্যে ব্যবস্থা করলাম। তাহলে আমাদের ভুল কোথায়? ডাঃ হাসানুর রহমান তাহলে কেন মায়ের পেট কেটে সেলাই দিয়ে অপারেশন থিয়েটার থেকে চলে আসলেন।

মেয়ে সুমি আক্তার জানান, আমার মায়ের অবস্থা বেশী ভালো নেই। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে সার্জারী ডাঃ হাসানুর রহমান জানায়,আল্ট্রাসনোগ্রামে টিউমারটি যেতটুকু দেখা গিয়েছে, পেট কাটার পর টিউমারটি নাড়ি ভুড়ির সাথে পেচিয়ে রয়েছে এবং আল্ট্রার চেয়ে তা অনেক বড় দেখতে পাই। যার কারণে পেট কেটে সেলাই দিয়ে দিয়েছি এবং ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেই।

১৫ দিন পূর্বের আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট দিয়ে রোগীকে কেনো অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে পেট কাটা হলো সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে, ডাঃ হাসানুর রহমান আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টে সমস্যা ও বিভিন্ন ধরনের কথা বলে উত্তর না দিয়ে প্রশ্নটা এড়িয়ে যান।

দি কমফোর্ট প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এর ডাঃ মহসিন জানায়, আমাদের আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট সঠিক ছিলো। টিউমারটির সাইজ যা ছিল, আমরা তা দিয়েছি। ১৫ দিনের মধ্যে টিউমারটি বড়-ছোট হতে পারে। তবে চিকিৎসক অপারেশনের পূর্বে কেন আল্ট্রা করালেন না। এটা তিনিই ভাল বলতে পারেন।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট
৩০ এপ্রিল ২০১৯