ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ:
জেলায় ও ৮ টি উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। জেলা ও ৮ টি উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এবং ত্রাণ বিভাগের সকল কর্মচারীদের ছুটি বাতিল এবং কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ।
জেলার সকল ৩১১ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক,কলেজ ও মাদ্রাসা ভবনসমূহ (১৪৫০টি) আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে । সমগ্র জেলায় ১১৬ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে ।
সমগ্র জেলায় ৭ টি সরকারি ও ২০ টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে । দুর্যোগ মোকাবিলায় ২০০০ প্যাকেট শুকনা খাবারের মজুদ রাখা হয়েছে ।
ত্রাণ হিসেবে ৬২৫ মে: টন চাল ও ৩৮৩ বান্ডিল টিন মজুদ রাখা হয়েছে । বৃহস্পতিবার বেলা ১১:৩০ থেকে ঢাকাগামী সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ বিআইডব্লিউটিএ নির্দেশনা মোতাবেক বন্ধ রাখা হয়েছে ।
দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধার কাজের জন্য রেড ক্রিসেন্ট এর ৫০ জন, রোভার এর ৫০ জন ও স্কাউটের ৩৩০ জনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে । একটি নৌ থানা ও ৫ টি নৌ ফাঁড়ির ৮১ জন নৌ পুলিশ সদস্য, কোষ্টগার্ডের ৫০ জন সদস্য উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ।
দ্বীপ ইউনিয়নের লোকজনকে প্রয়োজনে সরিয়ে আনার জন্য ১৫০ টি ট্রলার, ৬ টি স্পীডবোর্ড প্রস্তুত রাখা আছে। ২ টি উদ্ধারকারী নৌযান প্রস্তুত রাখা আছে।
ফায়ার সার্ভিসের ৮ টি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে । পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ-সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার জেলার সকল মসজিদে জুমার নামাজে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে আহবান জানানো হয়েছে ।
জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। সরকারের পাশাপাশি সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন ও ব্যক্তিবর্গকে প্রয়োজনের সময় মানবিকতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসার জন্য জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর এর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে ।
স্পেশাল করেসপন্ডেট
৩ মে ২০১৯