চাঁদপুরে সিএসডি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। সিএসডির সকল খাদ্য শস্য এসে সিএসডি ঘাটের মাধ্যমে উঠা-নামা করে। বর্তমানে উত্তর বঙ্গের খাদ্য শস্য নৌ-পথে পরিবহন করে চাঁদপুর সিএসডি ঘাটের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের খাদ্য ঘাটতি মিটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। অথচ সিএসডির জেটি ঘাট যেন আবর্জনার ভাগাড় !
এ পরিকল্পনার আওতায় সহায়তা খাদ্য বিভাগ চাঁদপুর সিএসডি মূল ফটকের জেটি সংলগ্নে একটি স্থায়ী আধুনিক ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করবে বলে জানা যায়।
এদিকে চাঁদপুর সিএসডি মূল ফটকের জেটি সংগগ্নে ঘাটের পাশে ময়লা আবর্জনা ও অবৈধ দখল করে সাইন বোর্ড ব্যবহার করে স্থাপনা নির্মাণ করায় সিএসডি ঘাটে খাদ্য শস্য উঠা নামার কাজে বিঘœ সৃষ্টি ঘটছে।
এছাড়া সিএসডি মুল ফটকের জেটি সংগগ্নে স্থায়ী আধুনিক ঘাট নির্মাণ ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন চাঁদপুর সিএসডির আহরণ ও ব্যয়ন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর ) চাঁদপুর সিএসডি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে খাদ্য শস্য উঠা নামা করার স্থানটির একপাশে পৌরসভা কর্তৃক ময়লা আবর্জনার স্থাপনা আর অন্যপাশে বিআইডব্লিউ’র জায়গা অবৈধ দখলে করে জনৈক ব্যাক্তি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দোকান নির্মাণের কাজ করছে।
এতে করে সিএসডির খাদ্য রাখা অনিরাপদ হচ্ছে । অন্যদিকে ময়লা আবর্জনার কারণে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। ওই স্থানের আশ-পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিনটি সরিয়ে নেয়ার জন্য চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এবং বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তার নিকট চাঁদপুর সিএসডি থেকে অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ আমার কছে বিআইডব্লিটিএর কর্মকর্তা যখন ময়লা আবর্জনার স্থাপনা ও বিআইডব্লিউ’র জায়গা অবৈধ দখল প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি তাদের বলে দিয়েছে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। এখানে কোনো প্রকার অবৈধ স্থাপনা ও ময়লা আবর্জনার স্থান থাকবে না।
এ প্রসঙ্গে চাঁদপুর সিএসডির আহরণ ও ব্যয়ন কর্মকর্তা সালমা আক্তার জানান, ‘ চাঁদপুরে খাদ্য বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। সিএসডি মূল ফটকের পাশে জেটি ঘাট থাকায় এখানে খাদ্য উঠা-নামা করতে সহজ হয়। তাই সরকারের পরিকল্পনা অনুযাযী এখানে স্থায়ী আধুনিক ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। চাঁদপুরে থেকে আশ-পাশের ৬ টি জেলা সেবা পাবে।’
ইদানিং সিএসডির পাশে জেটি ঘাট সংলগ্ন অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণ ও ময়লা রাখান স্থান তৈরি করায় আমাদের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সালমা আক্তার আরো জানান, ‘ আমরা চাঁদপুর পৌরসভাকে নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ ও বিআইডব্লিটিএ কে নিয়মিত জেটি চার্জ পরিশোধ করা সত্ত্বেও আমরা কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিনা। আমরা উভয়কে স্থাপনা উচ্ছেদ করার অনুলিপি প্রেরণ করেছি। সিএসডির নিরাপত্তা ও খাদ্য শস্য দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে দ্রুত ময়লা আবর্জনার স্থান ও অবৈধ দোকান নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা রাজ্জাক জানান, ‘ চাঁদপুর সিএসডির জেটি সংলগ্নে ঘাটের পাশে ময়লা আবর্জনা ও অবৈধ দখল করা প্রসঙ্গে চাঁদপুর মডেল থানায় এবং মেয়রকেও অনুলিপি দেয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করতে চাঁদপুর মডেল থানায় সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইব্রাহিম খলিল বলেন,‘বিআইডব্লিটিএ থেকে সিএসডি ঘাটের দখল প্রসঙ্গে একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছি। এ সম্পর্কে তদন্তের জন্য এস আই আওলাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম
৬ নভেম্বর,২০১৮ মঙ্গলবার