দোকানের সামনেই তাদের ছোট শিশুটি খেলাধুলা অবস্থায় ছিলো। হয়তো দু’জনেই চেষ্টা করেছিলেন কলিজার টুকরোকে বাঁচাতে। নিয়তির নিষ্ঠুর নির্মম পরিহাসের তাদের সর্বশেষ পরিণতি ভোগ করতে হলো।
পুরান ঢাকার চকবাজারে বহুতল ভবনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত নিহত ৭০ জনের মধ্যে ৬৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ৯ জন।
চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের আগে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিন ভাই অপু, আলী ও ইদ্রিস। ছোট ভাই ইদ্রিস দোকানের চাবি বড় ভাইদের বুঝিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যান। দোকানের পাশেই খেলছিল অপুর তিন বছরের শিশু ছেলে আরাফাত। বিস্ফোরণ অপু-আলী- আরাফাত তিনজনই মারা গেছে। মরদেহ শনাক্ত করেছেন ছোট ভাই ইদ্রিস।
নিহত দুই ভাই অপু ও আলীর মরদেহ আলাদা করতে পারেননি উদ্ধারকারী সদস্যরা। তারা দু’জন একে অপরকে জড়িয়ে ছিলেন। এ অবস্থায়ই তাদের করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পাঠানোর পর দেখা যায়, দুই ভাইয়ের মরদেহের মাঝে রয়েছে শিশু আরাফাতের মরদেহ।
আগুনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই হয়তো দুই ভাই আরাফাতকে মাঝে রেখে একে অপরকে জড়িয়ে রেখেছিলেন বলে ধারণা করছেন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।