ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শামছুল হক বেপারী (৬৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শামছুল হক বেপারী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের রুদ্রগাঁও গ্রামের আলিম উদ্দিন বেপারি বাড়ির মৃত চাঁন মিয়া বেপারীর ছোট ছেলে। তিনি ঘটনাস্থলের ওয়াহিদ মার্কেটের পাশ^বর্তী মার্কেটের নিচ তলায় ডেকোরেটের ব্যবসা করতেন।
এ বিষয়ে নিহতের ভাতিজা রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর পরিবারের লোকজন শামছুল হক বেপারীর মোবাইলে ফোন করতে থাকে। কিন্তু, ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুখের দাঁড়ি আর হাতের ঘড়ি দেখে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নিহতের পরিবারের সদস্যরা শামছুল হকের পুড়ে যাওয়া লাশ সনাক্ত করে।
শামছুল হক বেপারী দীর্ঘদিনের সহচর কিরণ পাটওয়ারী জানান, বুধবার রাতে বিয়ের একটি অনুষ্ঠানের জন্য কাপড় প্রস্তুত করছিলেন তার দুই সেলাই মেশিনম্যান (স্থানীয় ভাষায় খলিফা) নিয়ে। কিন্তু হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শামছুল হকসহ অজ্ঞাত দুজন পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ওই দোকান থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে। মাঝে কয়েক বছর বিরতি দিয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে ডেকোরেটরের ব্যবসা করছেন শামছুল হক।
স্থানীয় আহসান হাবিবসহ বেশ কয়েকজন জানান, স্বজ্জন শামছুল হক রুদ্রগাও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে সর্বদা দান অনুদান প্রদান করতেন। কিন্তু গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও পরবর্তী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলেন তিনি।
এদিকে শামছুল হক বেপারীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে শামছুল হক বেপারীর লাশ তার ছেলে মাহবুব ও তার ভাতিজা কবির শনাক্ত এবং লাশ গ্রহণ করেছে বলে কিরণ পাটওয়ারী নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকার সময় রুদ্রগাঁও ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন তাকে করা হবে।
আরো পড়ুন- চকবাজারে আগুনে লাশের সারিতে যোগ হলো হাজীগঞ্জের দু’জন
প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur