পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের পুকুর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটন করা না গেলেও তার মরদেহ উদ্ধারের ঘণ্টাখানেক আগে নারীর কণ্ঠে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনেছে স্থানীয়রা।
মরদেহ উদ্ধারের পরপরই গুরুত্বসহকারে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আশপাশের মোট ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।
পুকুরটি কারাগারের মসজিদের পাশে ডিআইজি কোয়ার্টার্স সংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকায় ছিল। তবে মসজিদ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যে কেউ ওই পুকুরে অজু করতে যেতে পারতেন। আশপাশে কয়েকটি ঘরও ছিল। সেখানকার বসবাসরতদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, আশপাশের লোকজন আনুমানিক রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ২৫ মিনিটের মধ্যে পুকুর পাড়ের কাছ থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনতে পায়। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন এসে মরদেহটি পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ আসার পর সালোয়ার কামিজ পরা নারীর মরদেহ, একজোড়া স্যান্ডেল, একটি মোবাইলসেট ও একটি ভ্যানেটি ব্যাগ উদ্ধার করে।
তদন্তের বিষয়ে ঘটনাস্থলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চকবাজার থানার এএসআই জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ওই নারীর মোবাইলটি প্যাটার্ন লক করা। কয়েকটি কমন প্যাটার্ন চেষ্টা করেও সেটি খোলা যায়নি। সেটি এক্সেস করতে পারলে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যেত। এ ছাড়া রাতে মোবাইলে কোনো কলও আসেনি, কেউ ওই নারীর ওয়ারিশ হিসেবেও দাবি করেনি। তাই আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আশপাশে অন্ধকার ছিল। পুকুরের পাশাপাশি ঝোপঝাড় ছিল। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ক্লু পাইনি।
এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
এটি হত্যা না আত্মহত্যা? জানতে চাইলে এএসআই জাহিদুল বলেন, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তাছাড়া পুকুরটি ডিআইজি কোয়ার্টার্স সংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকা। তবে মসজিদ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যে কেউ ওই পুকুরে অজু করতে যেতে পারতেন। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে। ময়নাতদন্তের পর আসল রহস্য জানা যাবে।