চাঁদপুরে পুরান বাজার হরিসভা মন্দির এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধের ৪০ মিটার এলাকার সিসিব্লক দেবে গেছে। অন্তত ৮টি বসতঘর নদীতে বিলিন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে পুনরায় ছড়িয়ে পড়ে নদীভাঙন আতঙ্ক। ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ঐ এলাকার কয়েক শ সিসিব্লক মেঘনা নদীতে দেবে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে হরিসভার আশপাশের বেশ কিছু বসতবাড়ি ও দোকানপাট নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এখবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান ,পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান (পিপিএম বার) ,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ জামাল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এলাকা বাসিন্দারা জানান হঠাৎ করেই মন্দিরের উত্তর পশ্চিমপাশে নদীপাড়ে শহর রক্ষা বাঁধের বেশকিছু সিসিব্লক তলিয়ে যায়। এ সময় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ও দোকানপাট নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকেই একের পর এক বলগেট বোঝাই জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ভাঙ্গন স্থানে ফেলাতে দেখা যায়।
তাৎক্ষনিক ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে প্রায় ৩ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল বস্তা ফালানো শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পূর্বেই ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্দেশ্যে বলেন , আতংকিত হবেন না। জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, রাতে হঠাৎ করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। হরিসভা এলাকার পুরো শহর রক্ষা বাধই হুমকির মুখে। আমরা ভাঙ্গন রোধে তাৎক্ষনিক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো শুরু করেছি। এখন মজুদকৃত ৩ হাজার বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত দুই মাস আগে হরিসভার এই এলাকায় আরেক দফা মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়। তখন প্রায় তিন শত মিটার শহর রক্ষা বাঁধ নদীতে দেবে যায়
প্রতিবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কাজ করেছেন। আবারও সেখানে ভাঙন শুরু হওয়ায় হরিসভা, মধ্যশ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকাটি এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট, ১৫ অক্টোবর ২০১৯