ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত অংশের নবগঠিত ওয়ার্ডগুলোতে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভিড় নেই। দু-এক জন করে ভোটার আসছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রায়েরবাগ, মাতুয়াইলের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বেশিরভাগ কেন্দ্রের সামনেই প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থক ছাড়া ভোটার নেই বললেই চলে। ভোর থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি একেবারে থেমে যায়। দেখা যায় সূর্যের মুখ। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রায়েরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ভোটার নেই। এটি ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের সামনে ওয়ার্ডের টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রহমান রতন ও ট্রাক্টর প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তফা আহমেদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সবার গলায় প্রার্থীদের প্রতীকের কার্ড ঝোলানো। কেন্দ্র থেকে খানিকটা দূরে ট্রাক্টরের এজেন্টরা ভোটারদের স্লিপ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। তবে সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কোনো ভোটারকে স্লিপ নিতে দেখা যায়নি।
রায়েরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার এক হাজার ৭৫ জন। পৌনে ৯টার দিকে দু’জন নারী ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এরপর সকাল ৯টার দিকে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুল মাঠ একেবারেই ফাঁকা। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮৫০। কেন্দ্রে প্রবেশের মুখে ব্যাটমিন্টন র্যাকেট প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর সমর্থকদের দেখা গেছে।
র্যাকেট প্রতীকের কার্ড গলায় ঝোলানো মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বৃষ্টির জন্য মানুষ সকালে আসেনি। দু-একজন করে এসেছেন। এখন বৃষ্টি থেমেছে আশা করছি, ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
ভোট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বেলা বাড়লে ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যাও বাড়বে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নকে ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট হচ্ছে।
নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৫ প্রার্থী। তাদের ৯৯ জনই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে দল থেকে তাদের কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে দলটির তৃণমূলের ৭/৮ জন নেতাকর্মী এই নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন, এমন প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আছেন ১৫ জন। সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ২৪। এই ১৮ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন।(জাগো নিউজ)
২৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৯