Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে বিকল্প রাস্তা না রেখে ধীরগতিতে চলছে ব্রীজ নির্মাণের কাজ
Bridge construction work

হাজীগঞ্জে বিকল্প রাস্তা না রেখে ধীরগতিতে চলছে ব্রীজ নির্মাণের কাজ

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আহম্মদপুর বাজারের খালের উপর পুরানো ব্রীজ ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ নির্মানের কাজ চলছে।

ঠিকাদার বলছে বিকল্প পথের কোন ষ্টেটম্যান্ট নেই, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে অন্য সড়কে চলাচলের আহবান, স্থানীয়রা বলছেন বিকল্প পথ ও চিকন শুরু রাস্তা দিয়ে এ কেমন ব্রীজের কাজ।

শনিবার(৩০ মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন বাস্তবতার চিত্র। হাজীগঞ্জ বাজার থেকে এনায়েতপুর রোড হয়ে মালিগাওঁ কাশিমপুর পর্যন্ত ব্যস্তময় এ সড়কটি দিয়ে দৈনিক শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে আসছে।

গত তিন মাস ধরে আহম্মদপুর মধ্য বাজারের উপর এ ব্রীজটির কাজ শুরু হলেও বিকল্প পথের ব্যবস্থা না রাখায় দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন বলা যায়।

হাজীগঞ্জ বাজারে আসতে হলে মোহাম্মদপুর, তারালিয়া, মালিগাঁও, কাশিমপুরের মানুষ পাশ্ববর্তী শাহরাস্তি উপজেলা হয়ে চলাফেরা করতে হয়। আর এতে করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ চাকুরিজীবি মানুষের সবচেয়ে বেশী বেগ পেতে হচ্ছে।

এমন দূর্ভোগ পড়তে হচ্ছে একটি মাত্র ব্রীজের কারণে যেখানে রাখা হয়নি বিকল্প রাস্তা, যে কারণে এ অঞ্চলের মানুষ জানে না, কবে নাগাদ শেষ হবে ব্রীজ নির্মাণের কাজ।

জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনের কার চলতি বছরের শুরুতে চাঁদপুরের হায়দার টেড্রার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পুরানো ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজের নিচের বেইছ ডালাইয়ের কাজ মাত্র শেষ হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার পুরানো ব্রীজের ইট ও রড নতুন ব্রীজের কাজের সাথে ব্যবহার করার পায়তারা চালাচ্ছে।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ব্যস্তময় সড়কের ব্রীজ নির্মানের ক্ষেত্রে এ পথম দেখলাম বিকল্প রাস্তা নেই। আমারা শুনেছি খুব দ্রুত কাজটি শেষ হবে কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন ধীরগতিতে কাজ চালাচ্ছেন। পুরানো ব্রীজের ইট দিয়ে কণা তৈরি করেছেন এবং পুরানো রড কিছু কিছু যায়গায় দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাতে বাধাঁ দেই।

আমাদের এ পাড়ের মানুষ ঐ পাড়ে যেতে হলে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলো. ঘুরে আসতে হয়। তাই আমাদের দাবী ব্রীজ নির্মানের কাজটি যেন দ্রুত শেষ করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা আমাদের সাব-কন্টেকটার বলতে পারবেন। তবে পুরানো ব্রীজের কোন মালামাল নতুন ব্রীজে ব্যবহার করা হচ্ছে না, যা উঠেছে তা মূলত গুজব ছাড়া কিছু নয়।

হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আজিজ বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত আছে, খুব দ্রুত কাজ শেষ হবে । কোন অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই তা আমলে নিয়ে ঠিকাদেরর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার ব্যবস্থা করবো।

স্টাফ করেসপন্ডেট
৩০ মার্চ,২০১৯