একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে ধানের শীষের মিছিলে পুলিশি হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপিপ্রার্থী এম এ হান্নান। এতে পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে বিএনপি সশস্ত্র মিছিল করায়, তারা নিরাপত্তার বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় তাদের বাধা দেয়া হয়েছে।
এদিকে পুলিশের হামলায় বিএনপির ২৫ জন নেতাকর্মী এবং বিএনপির কর্মীদের হামলায় অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে উভয়পক্ষ দাবি করেছে।
পুলিশ হামলার ঘটনায় আরিফ পাটওয়ারী ও ইমাম হোসেন নামে দুজনকে আটক করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে।
আহতরা হলেন, পুলিশের হামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. ইউনুছ, পৌর বিএনপির সম্পাদক আমানত গাজী, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির বেপারী, শ্রমিক দলের সভাপতি আজিম খাঁ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা বেগমসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই ওমর ফারুক, সুমন্ত মজুমদার, সাজু বড়ুয়া, গোলাম রসুল ও আবুল কালাম।
জানা গেছে, সোমবার বিকালে বিএনপিপ্রার্থী এম এ হান্নানের নেতৃত্বে ধানের শীষের একটি বিশাল মিছিল উপজেলা সদরে মিছিল করার সময়ে মধ্যবাজারে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয় ও পরে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মুহূর্তের মধ্যে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে বিএনপিপ্রার্থী এম এ হান্নান সন্ধ্যায় পুলিশ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় তিনি ঘটনার নিন্দাজ্ঞাপন করেন এবং ফরিদগঞ্জ থানা ওসির প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, সোমবার শেষ বিকালে বিএনপির একটি সশস্ত্র মিছিল উপজেলা সদরে আসে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পুলিশ বাধা প্রদান করলে পুলিশের ওপর হামলা করে বিএনপির কর্মীরা।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে। ঘটনার সময় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর, ২০১৮