কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘরে যুক্ত হলো আরও একটি কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি। এটি চাঁদপুরের কচুয়া থেকে চলতি বছরের ২৫ মে উদ্ধার করেছিলো কচুয়া থানা পুলিশ।
২৮ জুলাই রোববার বিকেলে কচুয়া থানা পুলিশ এটি কুমিল্লা জাদুঘরে হস্তান্তর করে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আঞ্চলিক পরিচালক (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ড. মো. আতাউর রহমান হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক জিসান আহমেদ নান্নু এবং কচুয়া থানা পুলিশ সুত্র জানায়, গত ২৫ মে (শুক্রবার) কচুয়া পৌরসভার করইশ গ্রামের প্রয়াত আবুল হাসেমের দুই ছেলে ওয়ালী উল্যাহ, ওসমান এবং একই গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন এই তিনজন বাড়ির পাশে একটি পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ৩৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ১৯ ইঞ্চি প্রস্থ মূর্তিটি দেখতে পায়।
পুলিশে খবর দিলে কচুয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আদালত মুর্তিটিকে কুমিল্লা জাদুঘরে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে কোটি টাকা মূল্যের ৮২ কেজি ওজনের এই কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটি কুমিল্লা ময়নামতি জাদুঘরে হস্তান্তর করে পুলিশ।
গতকাল রবিবার দুপুরে কচুয়া থানায় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আঞ্চলিক পরিচালক (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ড. মো. আতাউর রহমানের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় সিনিয়র এএসপি (কচুয়া সার্কেল) মো. শেখ রাসেল, কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালী উল্যাহ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবির, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আঞ্চলিক পরিচালক (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, এই কচুয়া অঞ্চলে বিগত চার দশকে যে পরিমান প্রত্নতাত্ত্বি নিদর্শন বিচ্ছিন্ন ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংগ্রহীত হয়েছে এতে প্রমাণ হয় এই অঞ্চলে মাটির নিচে ও উপরে আরও প্রত্নসম্পদ থাকার সম্ভবনা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে নিবিড় ভাবে অনুসন্ধান করে এগুলো উদ্ধারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রতিবেদক- জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা প্রতিনিধি