ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবের কারণে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকে চাঁদপুরে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। জেলার মেঘনা নদী অংশে চরাঞ্চলের অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে সাইক্লোন শেল্টারে নেয়া হয়েছে।
বিকেল ৩ টা ১৫ মিনিট থেকে ঘণ্টায় ৮৩.৮৪ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে ১০ নভেম্বর রোববার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত চাঁদপুরে গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৭ মিলিমিটার। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও উপকূলীয় জেলা চাঁদপুরকে ৩নং সতর্ক সংকেত ও নদী বন্দর হিসেবে চাঁদপুরকে ২নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তা শাহ মো. শোয়েব চাঁদপুর টাইমসকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চসহ অন্য নৌযান শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে আসা এবং লঞ্চঘাটে আটকে পড়া প্রায় শতাধিক যাত্রীকে চাঁদপুর পৌরসভা ও সমাজসেবী হাজী কাউছ য়িার পক্ষ থেকে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আবহাওয়া কর্মকর্তা শাহ মো. শোয়েব চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিম্নচাপে রুপ নিয়েছে। আশা করা যায় এটি আগামিকাল নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। এরইমধ্যে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যহাত থাকতে পারে।
তার তথ্যানুযায়ী রোববার দিনভর বাতাসের আদ্রতা ছিলো আপেক্ষিক ৯৬ ভাগ, তাপমাত্র সর্বনিম্ন ছিলো ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বেোচ্চ ছিলো ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিবেদক : দেলোয়ার হোসাইন, ১০ নভেম্বর ২০১৯