বিশেষ সংবাদ

মাদ্রাসার ছাত্রীদের সাথে মৌমাছিদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা

“মধুর খোঁজে মৌমাছি আসে, বাসা বাধে আমড়া ডালে। উড়ে বেড়ায় এ ডাল সে ডালে, মধু বিলায় চারিপাশে” মৌমাছির এ অভয়ারণ্য আমড়া ডাল ছেড়ে জায়গা করে নিয়েছে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে, ছাদের চারিপাশে। আশেপাশের গাছে।

মাদ্রাসার পুরো ভবন জুড়ে শত শত মৌচাকে ঘেরা। মৌমাছিরা উড়ে যায়, ফিরে আসে, মধু জমায়। কিন্তু কখনও ভবনে থাকা কাউকে কোন ক্ষতি করে না। যেন তাদের পরম বন্ধু এ ভবনের বাসিন্দারা।

বলছিলাম একটি মহিলা মাদরাসার কথা। যশোরের অভয়নগরের পোড়াখালি এলাকার হযরত ফাতেমাতুজ্জজোহরা মহিলা মাদ্রাসাটি ব্যতিক্রম হয়ে ধরা দিয়েছে সবার কাছে। এ মাদরাসার ভবনের চারিপাশে শত শত মৌচাকে বসবাস করছে হাজারো সংখ্যার মৌমাছিরা।

ভবনটি পরিত্যাক্ত নয় বরং এ মাদরাসায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক ছাত্রী। যারা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে তাদের স্বাভাবিক কাজ করে থাকে। লেখাপড়া, স্বাভাবিক কাজকর্ম কোন কাজেই বাধা হয়ে দাড়ায় না মৌমাছিরা। মাদরাসার ছাত্রীরাও কখনও মৌমাছিদের কোন জ্বালাতন করে না। যেন তারা পরম বন্ধুর মত হয়ে আছে একে অপরের।

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে হানিফ সংকেত এ মাদরাসার তথ্যটি তুলে একটি অসম্ভব সুন্দর প্রতিবেদন করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে মাদরাসা ছাত্রীদের সাথে মৌমাছিরা বসবাস করছে পরম বন্ধুর মত। তিনি মাদরাসার এক ছাত্রীর মতামতও নিয়েছেন।

সেখানে দশ বারো বছর ধরে এ মাদরাসায় অধ্যয়ন করা ওই ছাত্রী বলেছেন, “এই মৌমাছিরা কখনওই তাদের কোন ক্ষতি করে না, তারা বন্ধুর মতই পরস্পর মিলে মিশে থাকে”। ব্যাতিক্রমধর্মী এ প্রতিবেদনটি অনেকের মধ্যেই কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।

Share