চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনীতে যানবাহন ও মানুষজন চলাচলের প্রধান সড়ক যখন ভবন নির্মাণকারী মালিকদের দখলে। তখন জনদুর্ভোগ সীমাহীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক দখল করে সড়কের ওপর প্রতিনিয়ত ভবন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে ভবন নির্মান করছেন ওই এলাকার ক’জন বাড়ির মালিক।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের অভিযোগ চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনীর এলাকার সাত্তার মাতাব্বরের দোকানের সামনে স্থানীয় শহীদ মাতাব্বর ও তার ভাই বারেক মাতাব্বর দীর্ঘদিন ধরে সড়কের ওপর ইট, বালি, কংক্রিট, কাঠ, বাঁশসহ বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী ফেলে রেখে তারা তাদের ভবন নির্মান করছেন। তারা প্রায় ৪/৫ মাস ধরে প্রভাব খাটিয়ে জনসাধারনের ভোগান্তির কথা তোয়াক্কা না করে দিনের দিন তাদের খামখেয়ালী মতো এসব অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
গত ২০ এপ্রিল ব্যাংক কলোনীর ওইস্থানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংক কলোনীতে প্রবেশের সড়কটির সাত্তার মাতাব্বরের দোকানের সামনে বারেক মাতাব্বর ও তার ভাই শহীদ মাতাব্বর সড়কের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে ইটের স্তুপ দিয়ে রেখেছেন। তার পাশেই বসানো হয়েছে ইট ভাঙ্গার মেশিন। দিনভর সেখানে মেশিন দিয়ে ইট ভাঙ্গিয়ে ভোগান্তি সৃষ্টি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক দোকানদার জানান, বারেক মাতাব্বর ও তার ভাই শহীদ মাতাব্বরের ভবন নির্মানের বিভিন্ন মালমাল আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সড়কের ওপর ফেলে রাখেন। তাদের বাড়ির ভেতরে অনেক জায়গা থাকা সত্বেও তারা সড়কের ওপর প্রতিনিয়ত এসব নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার কারনে একদিকে যেমন রিক্সা, মোটর সাইকেল, সিএনজি স্কুটার, অটোবাইক এবং মানুষজন চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। অন্যদিকে ভাঙ্গানো ইটের ধূলাবালি উড়ে পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
যখন সড়ক জুড়ে এলোপাতারি ভাবে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয় তখন দেখা গেছে ওইসময় একটি রিক্সাও ঠিকমতো চলাচল করতে পারেনি। এছাড়া এই সড়ক দিয়ে ব্যাংক কলোনীর হাজার হাজার, চলাচল করে থাকে। একই সাথে শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ছাত্রীদের চলাচল করতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ব্যাংক কলোনীর এসব বাড়ির মালিকদের খামখেয়ালী থেকে মুক্তি চায় কলোনী বাসি। তাই চাঁদপুর পৌরসভা কর্তপক্ষ ও জেলা প্রশাসন যাতে ব্যাংক কলোনীর ওইসকল বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে জরুরী ব্যাবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিবেন বলে মনে করছেন কলোনীবাসি।
এ বিষয়ে শহীদ মাতাব্বর এবং বারেক মাতাব্বরের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে তাদের পরিবারের এক যুবক বলেন, সবাই এখন রাস্তায় মালামাল রেখে কাজ করে। আমরা রাখলে দোষের কি? তাছাড়া আমরা ইট ভাঙ্গিয়ে সেগুলো ভিতরে নিয়ে যাই। আপনারা যা খুশি তা লিখেন। লিখলে আর কি হবে। এমনই বক্তব্য দিয়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেন।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি
২৫ এপ্রিল ২০১৯