চাঁদপুর

বালিয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায় দু’পক্ষের পৃথক মামলা

চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নে গুলিশা গ্রামে স্ত্রী বেবী বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী মো.খোরশেদ আলম পাটওয়ারী বিরুদ্ধে মামলা করেছে বেবী বেগম এর বোনের ছেলে মনির হোসেন শেখ। আবার খোরশেদ আলমের আত্মহত্যার ঘটনায় অপ*মৃ*ত্যুর মামলা করেছে তার ভাই সফিকুর রহমান পাটওয়ারী।

রোববার (১৪ জুলাই) দিনগত রাতে চাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে হত্যার শিকার বেবী বেগম এর মরদেহ গ্রহন করেন মনির হোসেন শেখসহ স্বজনরা। অপরদিকে খোরশেদ আলমের মরদেহ গ্রহণ করেন তার ভাই সফিকুর রহমান পাটওয়ারী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান।

মনির হোসেন শেখ হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন, খোরশেদ আলম ও বেবী বেগমের ৩ কন্যা বিবাহের পরে তাদের সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। খোরশেদ আলম এরই মধ্যে ৩বার ব্রেইন স্টোক করেন।

যার ফলে তাদের নিজ সম্পত্তি বিক্রি করে চিকিৎসা ব্যয় ভার বহন করে। অভাবের সংসারে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তার খালাকে খোরশেদ আলম শ্বাসরোধ করে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বাহিরের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যায়। বেবী বেগমের মরদেহ এর পাশে একটি হাতুড়ী, একটি স্ক্র ড্রাইভার পড়েছিলো।

চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, এই ঘটনায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই ফজলুর রহমানকে। এই ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রসঙ্গত, রবিবার (১৪ জুলাই) ভোরে গুলিশা পাটওয়ারী বাড়ীতে বেবী বেগম হত্যার শিকার হন। খোরশেদ আলম স্ত্রীকে হত্যা করে চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক এলাকায় চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ট্রেনে নীচে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১৬ জুলাই ২০১৯

Share