Home / লাইফস্টাইল / কম সময়ে বেশি কাজ করার কিছু বিশেষ কৌশল
AYman sadiq
আয়মান সাদিক (ফাইল ছবি)

কম সময়ে বেশি কাজ করার কিছু বিশেষ কৌশল

“সময়” – এই জিনিসটা আমাদের সবার খুবই খুবই দরকার। আমরা কোন একটা কাজ করতে পারলাম না। কেউ জিজ্ঞাস করলে খুবই সহজ ভাবেই উত্তর দেই “সময় ছিল না”

আমরা কোন পরীক্ষায় খারাপ করলাম এবং কেউ জিজ্ঞাস করলে বলি “পড়ার সময় পাই নি” আমরা কোন সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে উত্তর দেই “মনে ছিলো না”

কিন্তু এই সময়ের ধারণাটা আমাদের এক এক জনের মাথায় এক এক রকম। কেউ যদি সকালে একটা কাজ করে সে দুপুরের আগে অন্য কোন একটা কাজ করতে পারে না। আবার এমন ও মানুষ আছে যারা কিনা প্রতি পাঁচ মিনিট পর পর নতুন নতুন কাজ করছে।

যে সময়টা কে অনেক বেশী মূল্যায়ন দেয় সে কিন্তু সময়টাকে তত বেশী নিয়ন্ত্রণ এ রাখে এবং ততটা বেশী ব্যবহার করতে পারে।

তাই আমিও অনেক বেশী চেষ্টা করছিলাম আমি আমার সময় কে কিভাবে অনেক বেশী কাজে লাগাতে পারি এবং আমার কাজের ক্ষমতাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারি।

আমি “সময়” নিয়ে অনেক ব্লগ পড়লাম, ভিডিও দেখলাম কিন্তু সব জায়গায় একটা টেকনিকের মিল খুঁজে পাই।

তাই আর দেড়ি না করে ভাবলাম তোমাদের সাথে টেকনিকটা শেয়ার করে ফেলি। অনেকে হয়ত “টেকনিক” কথাটা শুনে ঘাবড়ে গেছো।মোটেও ঘাবড়ানোর কিছু নেই কেননা এটা খুব খুব সহজ একটা টেকনিক ?

টেকনিকটি হলো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের একটা নোটবুক দরকার এবং সেই নোটবুকে পরেরদিনের যে কাজ গুলো আছে তা লিখে রাখতে হবে অবশ্যই তা পয়েন্ট করে।

“অনেকে হয়ত বলবে লিখার কি দরকার আমাদের তো সব মনেই থাকে”

আমি তাদের কে বলবো না লিখে রাখতেই হবে। কেনানা লিখে রাখার একটা সুবিধা আছে। আমরা সবাই আমাদের মস্তিষ্ক কে একটু অতিরঞ্জিত মনে করে থাকি, মনে করি সব মনে থাকবে কিন্তু আসলেই কি তাই?
আসলেই কি সব কিছু মনে থাকে আমাদের?
“না” আমাদের সব কিছু মনে থাকে না।

একটা সহজ উদাহরণ দেই
আমরা যখন ক্লাস করি তখন মনে হয় স্যার,ম্যাডাম এর এই পড়ার কথা গুলো মনে থাকবে লিখে নিয়ার কি দরকার

কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে ঠিক পরীক্ষার আগের রাতেই,স্যার ম্যাডামের কথা গুলো আর মনেই থাকে না। তাই যখন যা করতে হবে তা লিখে রাখতে হবে।

এবার কিছু সুবিধা তুলে ধরি লিখে রাখার যেমন:

১.আমরা যদি নোটবুকে লিখে রাখি প্রতিদিনের কাজ গুলো তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠার পড়ে সবগুলো কাজ আমাদের চোখের সামনে ভাসবে এতে করে আমাদের দিন টা কেমন হবে তা আমরা খুব সহজেই বুঝে যাচ্ছি ।

২.আমাদের একটা কাজ শেষ হলেই কিন্তু আমরা তা কেটে ফেলব ঔ দিনের কাজের তালিকা থেকে। কাজ শেষ হবার পর কেটে ফেলার যে কি আনন্দ তা হয়ত বলে কিংবা লিখে প্রকাশ করা যাবে না এবং এই কাজটি তোমাকে পরবর্তী কাজের জন্য আরো প্রফুল্ল করে তুলবে।

৩.আমি মনে করি এটা আমাদের সবার মাঝেই হয় আমাদের সবার একটা আইডিয়া কিংবা প্রজেক্ট থাকে কিন্তু আমাদের করা হয়ে উঠে না।অনেক দিন পর আমরা আবিষ্কার করি ও আচ্ছা ৩ বছর আগে তো এই কাজটি করার কথা ছিল কিন্তু করা হয়নি।

আজ যদি তোমার এই কাজটা লিখা থাকতো তুমি কাজ টা আজ না করলেও পরবর্তী দিনের কাজের তালিকায় কাজটি চলে যেত। সে দিন ও না করলে পরের দিনের তালিকায় চলে যেত এভাবে যত দিন পর্যন্ত কাজটি না করবে ঔ লেখাটি তোমাকে মনে করে দিবে যে তুমি এখনো কাজটি শেষ করো নি।

এখান থেকে বুঝা যাচ্ছে নোটবুকটা তোমার কাজের রিমাইন্ডার হিসেবেও অনেক সাহায্য করছে।

তাই তোমরা যারা আছো যাদের কিনা আগে অনেক আইডিয়া,প্রজেক্ট ছিল করার মত কিন্তু মনে না থাকার কারনে কিংবা সময় নেই এই কারনে ভুলে গেছো তারা আজ থেকেই এই টেকনিকটা কে কাজে লাগাও যেন আজ থেকে ৩/৪ বছর পর হঠাৎ মনে না হয়ে কষ্ট হয় যে, “ও এই কাজটি তো করা হয় নি,এই আইডিয়া টা তো আমার ছিলো”

এই টেকনিকটা কে কাজে লাগাও এতে করে তোমার কর্মদক্ষতা,সময়জ্ঞানও অনেক গুণ বেড়ে যাবে আর ১/২/৩ মাস কিংবা বছরের জমে থাকা কাজ নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে

Ayman Sadiq
Founder & CEO, 10 Minute School