নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) কয়েকজন নেতাকে অর্থায়নের অভিযোগ ওঠায় ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ফারিনা আরশাদকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ঢাকা ছাড়েন বলে নিশ্চিত করেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এর আগে, একই অভিযোগে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে চার জঙ্গি গ্রেফতার হয়। গ্রেফতার ইদ্রিস শেখ ও মো. মকবুল শরীফ ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডসহ নানা বিষয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা ও খিলগাঁও থেকে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ইদ্রিস শেখ, মো. মকবুল শরীফ, মো. সালাম ও মো. মোস্তফা জামানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে ইদ্রিস শেখ ও মকবুল পাকিস্তানের পাসপোর্টধারী।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, শুধু সরকারবিরোধী ভয়ঙ্কর জঙ্গি তৎপরতাই নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রাবাজার ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিলেন এই কূটনীতিক। এসব ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১০:১৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর