চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পদ্মা সেতুর গুজবে ছেলেধরা সন্দেহে দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গণ*পিটুনি দেওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় মামলা হয়। ব্যক্তির ছোট ভাই মামলাটি করেন। এতে কয়েকজনের নামসহ চার গ্রামের অজ্ঞাত দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
শুক্রবার (১২ জুলাই) মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রতিদিন পুলিশ উপজেলার ঘিলাতলী, খিদিরপুর, বাড়ৈগাঁও ও নারায়ণপুর গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে শুক্রবার থেকে এসব গ্রামের যুবকেরা গা-ঢাকা দেন।
গত সোমবার উপজেলার ঘিলাতলী, খিদিরপুর, বাড়ৈগাঁও ও নারায়ণপুর গ্রামে দেখা যায়, সেখানকার অধিকাংশ পরিবারে তরুণ-যুবকেরা এলাকায় নেই। এসব গ্রামে কিছু বয়স্ক পুরুষ দেখা গেলেও কোনো যুবকের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। গ্রামগুলোর প্রায় প্রতিটি বাড়িতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিদের আনাগোনা দেখা গেছে।
নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. মোবারক হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেন, তাঁর পিতাকেও ছেলেধরা-সংক্রান্ত মারামারির ঘটনায় মামলার আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁর পিতা গত শুক্রবার থেকে গা-ঢাকা দেন। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাঁর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোয় যুবক-তরুণেরা এলাকা ছেড়েছেন। এসব গ্রাম প্রায় যুবকশূন্য হয়ে পড়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি এ কে এম এস ইকবাল জানান, গণপিটুনির ঘটনায় চার গ্রামের সাত-আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত এক থেকে দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মারামারির মামলা করা হয়। দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মো. শাহাদাত হোসেন শুক্রবার মামলাটি করেন। এ পর্যন্ত মো. মোহন (২২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার বাড়ি ঘিলাতলী গ্রামে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র আসামিদেরই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্দোষ কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিখ
১৬ জুলাই ২০১৯