অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস মুসলিম রীতিতে শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও তিনি ধর্মান্তরিত হননি বলে দাবি করেছেন। এছাড়া তিনি কখনো গরুর মাংস স্পর্শও করেননি বলে জানান। শাকিবের কথায় তিনি এতোদিন তার নিজের ধর্ম আড়াল করে এসেছেন। অপু বলেন, আমি জন্মগতভাবেই হিন্দু। আমার রুট হিন্দু। তবে আমি সব ধর্মকেই সম্মান করি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব কথা বলেন অপু বিশ্বাস। অপু বলেন, আমি জন্মগতভাবে হিন্দু। আমি মারা গেলে আমাকে দাফন নয় দাহ করা হবে। আমার পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সবখানেই আমার ধর্ম হিন্দু উল্লেখ রয়েছে। আমার একটা বাড়ি রয়েছে একটা গাড়ি রয়েছে- সবগুলোর কাগজেই একই নাম রয়েছে। আমি যখন ভিসা নিতে যাই আমার রেলিজিয়ন জিজ্ঞেস করে, আমি বলি হিন্দু।
তাহলে নিজেকে মুসলিম হিসেবে এর আগে কেন উল্লেখ করেছেন? অপু বিশ্বাস বলেন, আমার সাথে একজন মুসলিমের বিয়ে হয়েছে। তার আচার রীতি আমি মেনে নিয়েছি। শাকিব আমাকে ধর্মের কথা কাউকে না বলতে নিষেধ করেছে। আমি যখন ওই বাসায় ছিলাম তখন আমার রুমের যে ফ্রিজ ছিল সেখানেও গরুর মাংস ঢোকানো নিষেধ ছিল। শাকিব এসব জানতো। ওর মা বাবা সবাই জানতো আমি সবসময় পূজা করতাম।
অপু বিশ্বাসের কথায় স্পষ্ট যে শুধু শাকিবের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করেই তিনি ধর্ম বিষয়ে ভিন্নরকম তথ্য দিয়েছিলেন। অপু বলেন, আসলে এই মুহূর্তে ধর্মের বিষয়ে বাইরে কিছু বলার দরকার নেই। তুমি মুসলিম এটাই বলো। শাকিব এসব আমাকে বললেও সে কিন্তু কোনো কাগজপত্রে আমাকে অপু ইসলাম খান হিসেবে দেখাতে পারেনি। ধর্ম পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া লাগে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাকিব যেতে চায়নি।
২০১৭ সালে রাজনীতি চলচ্চিত্রের মুক্তির পূর্বে অপু বিশ্বাস বলেছিলেন, আপনাদের মনের ভেতর কী আছে? অপু বিশ্বাস? নাকি অপু ইসলাম? আপনারা আমাকে যা হিসেবেই ডাকবেন তাই ঠিক আছে। আমি এখন মুসলিম। নিয়মিতই নামাজ পড়ি, রোজা রাখি। তবে কেউ আমাকে রোজা রাখা ও নামাজ শেখায়নি। আমি নিজেই বই পড়ে পড়ে শিখেছি।’
ধর্ম নিয়ে এতোদিন পরে কেন আলোচনা? এই প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, প্রসঙ্গক্রমে চলে এসেছে বিষয়টি। তাছাড়া আমার মনের একটা ধর্ম আছে। আমি সকল ধর্মকে সম্মান করি। আমি শাকিবের কারণে নামাজ রোজাও করেছি। কিন্তু মনের যে ধর্ম আমার সেটা হিন্দু আমি জন্মগতভাবে হিন্দু। আমি আমার পরিবারেই ফিরে গিয়েছি। যেখানে আমি মারা গেলে দাহ করা হবে।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমার যখন শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তখন আমি একঝলক কাবিননামা দেখে পরে আর তার কোনো হদিস পাইনি। কোরবানি ঈদ থেকে শুরু করে কোনো ঈদে কিংবা কোনোদিন আমি গো-মাংস স্পর্শ করিনি। আমার বাসার কাজের লোকদের জন্য আমি খাসি কোরবানির ব্যবস্থা করি। তাছাড়া মিডিয়াতে আমার নাম অপু বিশ্বাস থেকে অপু ইসলাম খান নামে প্রচার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ নামের পরিবর্তন যেভাবে করতে হয় সেই ধরনের কোনো কিছুই করা হয়নি। আমি যেহেতু ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, আমি ধর্ম পরিবর্তন করার জন্যও প্রস্তুত ছিলাম।’
আব্রাম খান জয় প্রসঙ্গে বলেন, জয়ের ধর্ম নিয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলবো না। সময়ই সেটা বলে দেবে। যেসব গণমাধ্যম জয়ের ধর্ম নিয়ে সংবাদ করেছে সেসব বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট। জয়ের ধর্ম নিয়ে আমি কিছু বলিনি আর এ মুহূর্তে কিছু বলতেও চাই না।