বঙ্গোপসাগরে ধেয়ে আসছে আন্দামানের ‘বুলবুল’ রূপান্তরিত হয়। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে আঘাতের সম্ভাবনা সৃষ্টি করলেও বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে তা গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য মতে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বুলবুলের প্রভাবে উত্তাল হয়ে ওঠেছে সমুদ্র। এদিকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দু’নম্বর দূররবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বুলবুল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৬৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের সাগর বিক্ষুব্দ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দু’নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
সাইক্লোন ট্র্যাকিং স্যাটেলাইটের তথ্যচিত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে প্রলঙ্করী সাইক্লোনে পরিনত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উত্তর ওড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকার দিকে এগিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে,পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বুধবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দফতরের নির্ধারিত তালিকা থেকে ধারাবাহিকভাবে এ অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে। বুলবুল নামটি নেয়া হচ্ছে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে।
বার্তা কক্ষ,৭ নভেম্বর ২০১৯