Home / খেলাধুলা / বন্ধু আমিরের মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সমালোচনার মুখে রুবেল
Rubel

বন্ধু আমিরের মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সমালোচনার মুখে রুবেল

পাকিস্তানের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমিরের মা মারা গেছেন। গেল সোমবার দিবাগত রাতে করাচির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ছেলেকে ছেড়ে চিরতরে পাড়ি জমান পরপারে। প্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেন। সেটি নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে যায়। সেসব দেখে বেজায় চটেছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে দুঃখ প্রকাশ করেন রুবেল। তাতে আমিরের মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি লেখেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির, তার মা ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন.. আল্লাহ আপনি ওনাকে জান্নাত নসিব করুন। হে আল্লাহ! আপনি বাংলাদেশের তথা সমস্ত দেশের অসুস্থ ভাই বোনদের সুস্থতা দান করুন। আমিন।

রুবেলের এমন পোস্টের পরই শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই রুবেলকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এমনকি ডানহাতি এই বাংলাদেশি পেসারকে ‘রাজাকার’ বলতেও দেখা যায়। পোস্টটিতে শাহরিয়ার কবির ইমন নামে একজন লেখেন, ‘কত দেশের কত ক্রিকেটারের মা বাবা মারা যাচ্ছে কই তাদের নিয়ে তো কোন পোস্ট দেখলাম না, শুধু পাকিস্তানের বেলায় কেন?? তাহলে কি আমরা ধরে নিব আপনি পাকিস্তানি???’

যদিও এই সমালোচনাকারীদের সবাইকে পাল্টা জবাব দিতে থাকেন রুবেলের অনুসারীরা। তাতেও কাজ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ রুবেল নিজেই আরেকটি পোস্ট করেন ফেসবুকে। যেখানে তিনি আমিরের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব কিভাবে হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিদ্বেষ প্রচারে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।

ওই পোস্টে রুবেল লিখেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পেসার মোহাম্মদ আমিরের মায়ের মৃত্যু নিয়ে আমি ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় অনেকেই দেখলাম ব্যাপারটা খারাপভাবে নিয়েছেন। আমিরের সাথে ২০০৭ সাল থেকে আমার পরিচয়। আমরা একসাথে অনুর্ধ্ব-১৯ -এ খেলেছিলাম। দেশের বাইরের কাছের বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম সে। এজন্যই তার মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম। তাছাড়া কারো মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করাতে ভুল কোথায় আমি জানি না! তবে ইদানীং লক্ষ্য করা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা অন্যের প্রতি বিদ্বেষ প্রচারেই বেশি আগ্রহী। মুসলিম হিসেবে এটি কোন ভাবেই কাম্য নয়।’

বার্তা কক্ষ
৬ মার্চ,২০১৯