হাজীগঞ্জ

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স আছে চালক নেই : স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চালক আছে গাড়ি নেই

রোগীদের সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আছে। কিন্তু চালক নাই। আবার হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নতুন বরাদ্দের পাজারো গাড়ি আসার পূর্বেই চালক হাজির। এমন গাফলতির দায়ভার কে নিবে প্রশ্ন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলাবাসীর।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স আছে চালক নেই, আবার চালক আছে, গাড়ি নেই।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবকরা বলছেন, ‘চালকের অভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীসহ হাসপাতালে আসা মুমূর্ষু রোগীদের কাজে আসছে না নতুন মডেলের আধুনিক ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সরকারি ওই অ্যাম্বুলেন্স।’

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এ হাসপাতালে প্রতি মাসে গড়ে ১২ হাজার রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের অযোগ্য হিসেবে ৫ বছর যাবৎ অচলাবস্থায় হাসপাতাল গ্যারেজে পড়ে ছিল।

পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি’র প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। যা গত বছরের ২৩ অক্টোবর সংসদ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। কিন্তু চালকের অভাবে এ উপজেলার ৪ লাখ জনগোষ্টির কোনো কাজে আসছে না এ্যাম্বুলেন্সটি।

হাসপাতালটি জেলার মধ্যবর্তী স্থান ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এবং রেলপথ, স্থলপথ ও নদীপথের সংযোগ থাকার কারণে পাশ্ববর্তী উপজেলা কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও চাঁদপুর সদর এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার একাংশের জনগণ স্বাস্থ্য সেবা নিতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এ হাসপাতালে।

কবে নাগাদ চালক নিয়োগ হবে তা জানেন না- উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আনোয়ারুল আজিম জানান, জরুরি মুহূর্তে রোগীর জন্য এ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়াটা কষ্টদায়ক। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের লোকদের জন্য। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘ হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জন্য নতুন পাজারো গাড়ী বরাদ্দ হয়েছে। অথচ গাড়ী আসার পূর্বেই চালক নিয়োগ হয়েছে। এখন চালক আছে , গাড়ী নাই।

এদিকে নিয়োগকৃত চালক হারুন জানান, ‘আমি এখন হাসপাতালের রোগীদের স্বার্থে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনুরোধে এ্যাম্বুলেন্স চালাই।’

মনিরুজ্জামান বাবলু
১৮ জুন ২০১৯

Share