চাঁদপুর শহরের অন্যতম সেরা বিদ্যাপিঠ আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবদি এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ঈশ্বনীয় ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। শুধু তাই নয়, এই বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীরা মেধাবী হওয়ার পাশাপাশি, শৃঙ্খলা, অনুগত্য এবং ক্রীড়া নৈপূণ্যতাসহ বিদ্যা অর্জনের সকল দিকে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান রাখছে।
অথচ বহু-বছর ধরে লোকমুখে এই প্রতিষ্ঠানের একটি বদনাম রয়েছে, যা হলো এখাকার যে কোনো আচার-অনুষ্ঠানের নিজেদের আর্দশের বাইরের কাউকে দাওয়াত দেয়া হয় না। এমনকি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কিংবা জেলা শিক্ষা কর্মকতাকেও নয়। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আচার-অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ সরকার কর্মকতা কিংবা সুধিজনদের দাওয়াত দেয়ার নিয়ম রয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে একাডেমীর ২০১৯ সনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে সেই প্রকাশ করলো আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
এবারের আয়োজনে জেলার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, রাজনীতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ,নগর পিতাসহ জেলা সুধিজনদের অনেককে অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন, জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপত্বি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহ-সভাপতি ডা.জে আর ওয়াদুদ টিপু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সকল অতিথিগণই তাদের বক্তব্যে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানের আচার-আয়োজনে দাওয়াত না পাওয়ার নেতিবাচক প্রকাশ করেন এবং পাশাপাশি এই প্রথমবার তাদের আমন্ত্রণ জানানোয় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তাদের বক্তব্য হলো,একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সার্বিক উন্নয়তির জন্য সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে নিজেদের পরিবারের বাইরের ব্যক্তিদের অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি খুশি হয়েছি যে, এই জেলায় দায়িত্ব পালনের এক বছর পর আমাকে একটি অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে। এজন্য তিনি প্রতিষ্ঠানের সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান।’
পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির বলেন, ‘এই প্রথম আমাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে এজন্য আমিও ধন্যবাদ জানাই।’
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপত্বি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন,‘চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবেও এই প্রতিষ্ঠানের আচার-অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত করা হয় না। এটি একটি ভালো প্রতিষ্ঠান। তাই আমরাও এই প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে চাই। যাতে করে সম্মিলিতভাবে প্রতিষ্ঠানটি আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল তার বক্তব্যে বলেন,‘আমার পিতা মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারী চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালি এই প্রতিষ্ঠানটিকে জায়গা দিয়েছে। অথচ এখানকার কোনো আচার-অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত করা হয় না। এটি দুঃখজনক। আমরা মনে করি এই প্রতিষ্ঠানটি চাঁদপুরবাসী সকলের। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নতির জন্য সকলকে সম্পৃক্ত করার কথা ছিলো।’
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম
১৩ মার্চ ,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur