চাঁদপুর

চাঁদপুরে এবার ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

চাঁদপুরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বোরো মৌসুমে ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে । ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বোরো মৌসুমে সাড়ে ৭ হাজার মে.টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। এর মধ্যে চাল ৬ হাজার মে.টন ,ধান ১ হাজার ৭ শ’৫৪ মে.টন এবং গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ মে.টন। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা লক্ষ্যে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অনুমোদিত ১৭ জন মিল মালিক থেকে এসব ধান-চাল সংগ্রহ অব্যাহত ছিল ।চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় ৭ অক্টোবর এ তথ্য জানিয়েছে ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে,চাঁদপুরে এবার সরকারিভাবে কেজি প্রতি সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা করে চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৬ শ’৫৪ মে.টন,তাই ক্রয় করা হয়েছে । ৩৫ টাকা কেজি ধরে ৩ শ ৫৫ মে.টন আতব চাল ক্রয় করে। ২৮ টাকা কেজি দরে এবার ৪ হাজার ৭ শ ২৭ মে.টন ধান ক্রয় করেছে ।

জেলায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাল ক্রয় করার পরও আরো ১৫ দিন সমযসীমা বাড়ানো হয়েছে । কৃষকদের আপতকালীন মজুতকরারও নির্দেশ রয়েছে। একজন তালিকাভুক্ত কৃষকের কাছ থেকে সর্ব্বোচ্চ ৩ মে.টন চাল ক্রয় করার নির্দেশ ছিল ।

খাদ্য বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ বছরের ৭ মে ২০১৯ থেকে সারা দেশসহ চাঁদপুরের সকল উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে মিলারগণ বোরো ধান ক্রয় করবে। সংশ্লিষ্ট চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অনুমোদিত কৃষকগণের কাছ থেকে যা কৃষিবিভাগের তালিকাভুক্ত এবং যাদের কৃষি সহায়তা কার্ড রয়েছে ও স্ব স্ব উপজেলা খাদ্য কমিটির অনুমোদিত তাদের কাছ থেকে ডিলারগণ চাঁদপুরের চাল,ধান ও গম ক্রয় করবে।

চাঁদপুরে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ইরি-বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দু’লাখ ৪৬ হাজার মে.টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছেন। হাইব্রিড,স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে ।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬১ হাজার ৫ শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ২ শ’৭৪ মে.টন চাল। চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২০১৮-২০১৯ র্অথবছরে ১ শ’৭১ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ।

চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘সরকারি হিসেব মতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাল ক্রয়ের সময়সীমা থাকার পরও আরোও ১৫ বাড়ানো হয়েছে । সে পর্যন্ত মিলারগণ ধান ও চাল সংগ্রহ করে জেলা খাদ্য বিভাগকে সরবরাহ করেছে ।

তিনি আরো বলেন,‘সরকারি নির্দেশ মতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ওই চাল ও গম জিআর,টিআর, ভিজিটি, ভিজিএফ, আপতকালীন
সময়ে ১০ টাকা কেজি ধরে ও জাটকা সংরক্ষণে ভিজিফ ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। যা স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি কর্তৃক বিতরণ করা হয়ে থাকে ।’

প্রতিবেদক-আবদুল গনি,৮ অক্টোবর,২০১৯

Share