আজ ১২ মার্চ চাঁদপুর টাইমস সহ-সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল গনির ৫৯তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৬০ সালের এ দিনে তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর টাইমস কার্যালয়ে জন্মদিনের কেক কাটা ও পরিবার সদস্যদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এতে নিউজ পোর্টালটির নির্বাহী সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইন, মডারেটর আব্দুস সালাম, শিফট ইনচার্জ ফজলুর রহমান,ব্যবস্থাপক মোস্তফা কামালসহ টাইমস পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র এ সাংবাদিক একজন শিক্ষক নেতা। তিনি চাঁদপুর জেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর বাবা মৃত মোহাম্মদ আলী হাওলাদার যিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী,মনিপুর মুলাববাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও আদর্শবান একজন কৃষক এবং মাতার নাম মৃত নুরজাহান বেগম যিনি ছিলেন একজন গৃহিণী।
ছোটবেলাই বাবা-মায়ের কাছে মক্তবপাঠ সমাপ্ত ও হাইমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ১৯৭৭ সালে বর্তমান হাইমচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি,১৯৮০ সালে সাহাতলীর জিলানী চিশতি কলেজে এইচএসসি ও ১৯৮২ সালে চাঁদপুর কলেজে স্নাতকে পড়েন ।
চাচা মৃত আহমেদ আলী মাস্টারের আদর্শের অনুকরণে ১৯৮৪ সালে চাঁদপুর সদরের জোহরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। ১৯৮৫ সাল থেকেই চাঁদপুরের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় চাঁদপুর-হাইমচরের নদীভাঙ্গন,চরবাসীর জীবন-জীবিকা,জেলার উন্নয়ন চিত্র,শিক্ষকদের কথা,পরিসংখ্যান,মৎস্যসম্পদ, কৃষি,শিক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনালেখ্য নিয়ে লেখালেখিতে অভ্যস্ত হন।
১৯৮৮ সালে সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে বর্তমানে সেখানে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর মতে শিক্ষকতা জীবনে অবদান কম হলেও প্রাপ্তি অনেক বেশি। কম হলেও ২৫-২৬ টি পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। তাই মনের মাধুরী দিয়ে বিদ্যালয়টিকে সাজাতে ও শিক্ষার্থীদের কিছু দেবার চেষ্টার কমতি ছিলো না।
আবদুল গনি ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন। সহধর্মিণীর নাম রহিমা বেগম। লেখাপড়া হাইমচর বালিকা বিদ্যালয় পার করে মিরপুর বাংলা কলেজ পর্যন্ত। তাঁর দু’ছেলে। বড় ছেলে চাঁদপুর কলেজে মাস্টার্স ও ছোট ছেলে একই কলেজে প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র।
৫৯তম জন্মদিনে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান,চোখবন্ধ করে ঘুমানোর আগে দেখি আমার শত শত সতীর্থরা পুলিশ,সেনাবাহিনী ও ব্যাংক বীমার অফিসার, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষকসহ বড় মাপের অনেক ভালো অবস্থানেই আছে। যা আজ মাঝে মধ্যে আত্মতৃপ্তির‘ঢেকুর’আসছে। সবচেয়ে ভালো অনুভূতি লাগছে-দু’টো পেশা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অনেক বড়মাপের মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়েছে।
তিনি বলেন, ৫৯ বছরের এ পার্থিব জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত,দু:খ-দুর্দশা,আনন্দ-বেদনা,হাসি-কান্নার মত অনেক স্মৃতিবিজড়িত প্রেক্ষাপট ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জীবন সায়াহ্নের এ বিকেলে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ুর জন্যে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ মার্চ, ২০১৯