চাঁদপুর

চাঁদপুর থেকে বিদায় নিলেন `তুরুপের তাস’ সার্জেন্ট নুর আলম 

প্রতিবেদনের শিরোনামটি শুনলেই চমকে উঠার মতো।  চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগের একজন দক্ষ কর্মকর্তা হয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে একটা শহরকে যেভাবে সাজিয়ে রাখলে ভালো হয়, তার সবটাই করেছেন চাঁদপুর থেকে বিদায়ী এই সার্জেন্ট নুর আলম।

বলা যায় তিনি ট্রাফিক বিভাগের একজন তুরুপের তাস (তাস খেলায় পিট নেবার জন্য ব্যবহৃত তাস)।

চাঁদপুরে আসার পর থেকে বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালনা থেকে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা। বেপরোয়া মোটর বাইকারদের কাছে তিনি ছিলেন, মূর্তিমান এক আতংক।

সার্জেন্ট নুর আলম তার দায়িত্ব পালনকালে প্রায় ৫ শতাধিকের ও বেশি নম্বর এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিহিন অবৈধ গাড়ী আটক করেছেন। আর এসব যানবাহন আটক করার পর তাকে পড়তে হয়েছিলো বিভিন্ন বাধ্যবাধকতায় ও নানা চ্যালেজিংয়ে। কিন্তু তিনি তার অদম্য সাহসী নির্ভিককতায় কখনো এতটুকু পিছ পা না হয়ে কাজ করে গেছেন চাঁদপুরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রন রক্ষায়। তার কাজের দক্ষতায় চাঁদপুর শহরে ফিরে এসেছে যানবাহন চলাচল শৃঙ্খলা।

তিনি শুধু যানবাহন চলাচলের ওপর আইন প্রয়োগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন না। তার পাশাপাশি মাদকসহ আটক, চোর,  ছিনতাইকারীদেরকেও আটক করেছেন। এছাড়াও রাস্তায় চলাচলকারী ইভটিজারদের বিরুদ্ধেও নিয়েছিলেন কঠোর ব্যবস্থা। গত সাড়ে ৩ বছরে সার্জেন্ট নুর আলমের সমস্ত কাজের দক্ষতায় তিনি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ট্রাপিক বিভাগে একের পর এক প্রশংসা  কুঁড়াতে থাকেন।  সুনামের সাথে তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিমাসে পুলিশ সুপারের কাজ থেকেও পেয়েছেন একাধিকবার পুরস্কার।

সার্জেন্ট নুর আলম ৩ বছর ৪ মাস দায়িত্ব পালন শেষে চট্রগ্রামে বদলী হওয়া গত ১৭ আগস্ট চাঁদপুর ট্রাপিক অফিস এক বিদায়নুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে বিদায় জানানো হয়। ট্রাফিক সার্জেন্ট নুর আলমের বিদায়ে চাঁদপুরের মানুষ একজন সুদক্ষ অফিসারকে হারিয়েছেন বলে এমনটাই মনে করছেন চাঁদপুরের সচেতন মহল।

লিখেছেন- সাংবাদিক কবির হোসেন মিজি

Share