চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের ৭নং বারৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান চলছে। শ্রেণিকক্ষের অভাবে গত কয়েক মাস যাবৎ ওই বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ টিন সেট খোলা ভবনের নিচে ও ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, ১৯১৬ সালের তৎকালিন সময়ে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে ৮ জন শিক্ষকের বিপরীতে ৫জন শিক্ষক রয়েছে। তন্মধ্যে বর্তমানে একজন শিক্ষক হাজীগঞ্জে বিপিএড প্রশিক্ষনে কর্মরত রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক শূন্যতায় প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পড়াশুনা মনোযোগী করায় হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন মোল্লা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় প্রতি বছর শতভাগ সহ জিপিএ-৫ ও বৃত্তি পেয়ে সুনাম ধরে রেখেছে। বিশেষ করে আমার দায়িত্বকালিন সময় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় বছর শতভাগ উত্তীর্ণ হয়ে আসছে। ২০১৬ সালের পিএসসি পরীক্ষায় শতভাগ সহ ৯জন জিপিএ-৫ ও ২জন শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। ভবন না থাকায় ও শিক্ষক সংকটের কারণে পঞ্চম শ্রেণির প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা নতুন শাখা করা যাচ্ছে না। ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শিক্ষকদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বার জানান, বিদ্যালয়ের সামনের পুরোপুরি গাইড ওয়াল না থাকায়, দক্ষিণ পার্শ্বের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও দ্বিতল ভবনটি দ্রুত নির্মাণ না হওয়ায় নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এসব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে আশু সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া
: আপডেট, বাংলাদেশ ২ : ০০ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ