ভারতীয় উপমহাদেশে এককালে প্রচলিত ছিল স্বামীর মৃত্যু হলেই জ্বলন্ত চিতাতে ঝাঁপ দেবেন বিধবা স্ত্রীরা। খুব বেশিদিন আগের কথা নয় কিন্তু এটা। আজ থেকে একশ বছর বা তার একটু বেশি পেছনে তাকালে দেখা যাবে হাজারে হাজারে এই সতীদাহের খবর।
তবে রাজা রামমোহন রায়দের মতো ক্ষণজন্মাদের কল্যাণে এ অনাচার ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বিদায় হয় অনেক আগেই। তবে ইন্দোনেশিয়ানদের পাপুয়ার দানি সম্প্রদায়ের লোকেরা এ ধরনের কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে পারেনি।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দেশটির দানি সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বামী মারা গেলেই স্ত্রীর আঙুল কেটে ফেলে। শোক প্রকাশের অজুহাতেই দুর্ভাগা নারীদের এ বিসর্জনে বাধ্য করা হয়। তাদের ধারণা, এতে নাকি মৃতের আত্মার শান্তি হয়!
পাপুয়া প্রদেশের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, যখনই পরিবারের কর্তা মারা যান, শোক পালনের জন্য স্ত্রীর দুই হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়। আঙুল কাটার আগে মহিলার হাত কষে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে হাতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর কুড়ুল দিয়ে আঙুল কেটে দেওয়া হয়। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে এই প্রথা সহ্য করতে হয় সেখানকার নারীদের।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে দানি সম্প্রদায়ের মধ্যে নিষ্ঠুর এই প্রথা চলে আসছে । ওই দ্বীপে গেলেই আঙুলহীন মহিলাদের দেখা মিলবে।
তবে আশার কথা হলো, সম্প্রতি এই বর্বর প্রথার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।