Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর ট্রাক রোডের বহুতল ভবনে ‘জ্বীনের’ উপদ্রবে আতঙ্কে ভাড়াটিয়ারা
চাঁদপুর ট্রাক রোডের বহুতল ভবনে জ্বীনের উপদ্রবে আতঙ্কে ভাড়াটিয়ারা
ভাড়াটিয়াদের দাবি অনুযায়ী ইনসেটে জ্বিনের আঁকাআঁকির চিত্র

চাঁদপুর ট্রাক রোডের বহুতল ভবনে ‘জ্বীনের’ উপদ্রবে আতঙ্কে ভাড়াটিয়ারা

চাঁদপুর শহরের ট্রাক রোড এলকায় বহুতল ভবনে ‘জ্বীনের’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ১৫ দিন ধরে ওই ভবনে বসবাসকারী একটি পরিবারের নানা ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে।

বাড়ি লোকজন কিংবা প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে কখনো প্লেট ভাঙা, কখনো উপর থেকে পয়সা ফেলা এবং কখনো আবার ঘরের ভেতরে ফ্লোরে আঁকা-আঁকি করছে।

বর্তমানে ওই ভবনে ২৩টি পরিবার আতংকিত হয়ে পড়েছে। এদিকে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ভাড়াটিয়াদের পক্ষ থেকে কবিরাজের মাধ্যমে ঝাঁড়-ফুঁক নেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরির সুবাদে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম মনিরুল ইসলাম দীর্ঘ দু’বছর ধরে চাঁদপুুরে শহরের মিশন রোড রেলক্রসিং সংলগ্ন ট্রাক রোডের প্রবাসী মো. শাহজালাল মোল্লার মালিকানাধীন রোজ গার্ডেন ৬ তলা ভবনের ৪র্থ তলার ৪নং ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। এ ফ্লাটে থাকাবস্থা পরিবারটি আচমকা ঘরের জিনিসপত্র অদৃশ্যভাবে মেঝে ছুড়ে পড়তে দেখে। এর থেকেই তাদের মধ্যে জ্বীনের আতঙ্ক দেখা দেয়।

আতঙ্ক থেকে বাঁচতে গত ৫-৬ দিন পূর্বে মনিরুল ইসলাম ৪র্থ তলার এ ফ্ল্যাটটি ছেড়ে দিয়ে ৫ম তলার ২ নং ফ্লাটে চলে যান। সেখানে গিয়ে গত ১৫ আগস্ট দেখতে পান কোন মানুষজন ছাড়াই জিনিসপত্র এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে ছুড়ে মারা হচ্ছে। একই ভাবে এ পরিবারের লোকজন ডাইনিং টেবিলে বসে গল্প করতে থাকলে অদৃশ্য ছায়া একটি কক্ষের মেঝেতে কলম দিয়ে অ^াঁকাআাঁকি করে রেখে যাচ্ছে। এ থেকে জ্বীনের আতঙ্ক ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘গত ১৫ আগস্ট থেকে তাদের ঘরে অদৃশ্য ছায়া জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলছে। বিভিন্ন লোকের পরামর্শক্রমে গত ১৭ আগস্ট শুক্রবার একজন হুজুরকে বাসায় এনে দোয়া দুরুদ পড়ানো হয়। সেই থেকে গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত জ¦ীনের উপদ্রব বন্ধ ছিল। বর্তমানে আমরা এ বাসাটি ছেড়ে দিচ্ছি। ঢাকার গাজীপুরে আমার বাড়ি রয়েছে, সেখানে পরিবার সদস্যদের পাঠিয়ে দিবো।’

শাহজালাল মোল্লার বাড়ির কেয়ার টেকার মোঃ আবু তাহের চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এ পরিবারে জ্বীনের আছর বিরাজ করার বিষয়টি বাড়ির মালিককে বিদেশে জানানো হয়েছে। প্রথমে বিষয়টি আমরা বিশ^াস করতাম না। একদিন সন্ধ্যায় মনিরুল ইসলামের বাসায় গিয়ে দেখতে পাই ওপর থেকে এক টাকা দু’টাকার সোনালি ও রূপালী রঙের কয়েন পড়ছে। আবার মুহুর্তের মধ্যেই ঘরের জিনিসপত্র ছুড়ে মারা হচ্ছে।’

৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া শাওনের আম্মু চাঁদপুর টাইমসকে জানান, চতুর্থ তলায় তাদের বিপরীত ফ্ল্যাটের ৪নং-এ থাকাবস্থায় জ¦ীনের আতঙ্ক দেখা দেয়। যার জন্য তারা এ ফ্লাট ছেড়ে দিয়ে ৫ম তলায় চলে যান

এদিকে ৬তলা বিশিষ্ট শাহজালাল মোল্লার রোজ গার্ডেন ভবনের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত ২৩টি পরিবার বসবাস করছেন। বর্তমানে সকল পরিবারের মাঝে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০ : ৫০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply