চাঁদপুর সদর উপজেলা রাজরাজেশ্বরে পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙান দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে ইতিমধ্যে দেড় শতাধিক পরিবারে বসতভিটাহীন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা-মেঘনার স্রোতে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে গোয়ল নগর চোকদার কান্দি, ৬ নং ওয়ার্ডের লগ্মীমারা চরের বেপারী কান্দি ও বালিয়ার চরের দেওয়ান কান্দি গ্রামের বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া গ্রামের বাকি বাসীন্দারা তাদের টিনের তৈরী ঘরগুলো নিজেরাই সরিয়ে নিচ্ছে।
৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিক কুড়ালি জানায়, বুধবার রাত ১২টার পর থেকে ভাঙনের তৃব্রতা কয়েকগুনে বেড়ে গেছে। এক রাতেই এ গ্রামের ৫০টি বসতঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হযরত আলী বেপারী জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরেই উজানের নেমে আসা পানির ¯্রােতে এই দু’টি নদী উত্তাল হয়ে উঠে। এতে করে প্রতিবছরের মতো এবারও ভাঙন দেখা দেয়। তবে বুধবার রাত ১২টার পর থেকে ভাঙন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এ পর্যন্ত ইউনিয়নের ৪ গ্রামের প্রায় দেড়শ’ বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক পরিবার ঝুকিতে রয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, দেশের বেশ কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। ওইসব জেলার বন্যার পানি নেমে আসায় পদ্ম-মেঘনায় পানির স্রোতে বেড়ে গেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা এখানকার মানুষদের শুকনো খাবার ও ঔষদ বিতরণ করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এদের সকলকেই সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৯ : ৪৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার
এইউ