চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেছন, ‘অন্যজেলার চেয়ে চাঁদপুর কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম অনেক চাঙ্গা রয়েছে। চাঁদপুরের মানুষে অনেক ভালো তাই তারা কমিউনিটি পুলিশিং কাজে এগিয়ে আসে।’
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে যেমনি ভাবে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে একই ভাবে সদর ও পৌর কমিটি কিছুটা জিমিয়ে পড়েছিলো। এখন তারা কাজ করছে। মহল্লা ভিত্তিক কাজগুলো এগিয়ে নিতে হবে। এতে করে কমিউনিটি পুলিশিং এর যে সব সমস্যা গুলো রয়েছে তা পূরণ হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি মাসে এখন থেকে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভা হবে। এর পাশাপাশি উপজেলা গুলোতেও মাসিক সভা হবে। এত করে জেলা ও উপজেলার কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সমৃদ্ধ হবে। আমরা কোন ব্যাক্তি বিষেশের কাছে অর্থের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। যদি কমিউনিটি পুলিশিং এর জেলা কমিটিতে উপদেষ্টাসহ প্রায় ২২ হাজার ৬শ’ ৩৫ জন সদস্য রয়েছে তারা যদি ১শ’ টাকা করে মাসিক চাঁদা দেয় তাহলে ২২ লাখ টাকার অধিক অর্থ সংগ্রহ হবে। সারা বছর অনুষ্ঠান করলেও আমাদেরকে কারো কাছে অর্থের জন্য হাত পাততে হবে না।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সাধারণ সম্পাদক সুফি খাইরুল আলম খোকনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরীফ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, জেলা ক্যাব সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী, জেলা ন্যাপ সভাপতি আবুল কালাম পাটওয়ারী, শিক্ষানুরাগী সফিউদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, চাঁদপুর সদর থানা কমিউনিটি পুলিশিংএর সভাপতি সালাউদ্দিন জিন্নাহ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, কচুয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সাধারণ সম্পাদক প্রাণধন দেব, মতলব উত্তর উজেলার সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন, শাহরাস্তি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মান্নান মোল্লা, হাজীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফুল আলম চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন, মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক গণেষ ভৌমিক।
অন্যান বক্তারা বলেন, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বেশি পরিবর্তন হওয়ার ফলে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম কিছুটা বেঘাত হচ্ছে। ৮টি উপজেলার কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তারা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সভাপতি নির্বাচনের একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাবনা দেন। এই সভাবে অনেক সাদা মনের মানুষ যারা কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে ভালোবাসেন। তাদের মধ্য থেকে যেনো সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
বক্তরা আরো বলেন, শাহরাস্তি উপজেলা বডার এলাকা হওয়ায় এখানে মাদকের প্রভাব বেশি। যুব সমাজ মাদকের ছোবলে ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিকে শক্তিশালি করতে হবে। মতলব উত্তর উপজেলার থানা পুলিশ চায় না কমিউনিটি পুলিশিং যেনো শক্তিশালি হয়। তাদেরকে মাদকের বিরুদ্ধ কিছু বললে তারা কোর অভিযান করছে না। এই উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আপনারা মাদকের প্রচার-প্রচারনার সভা করতে থানায় না বসে ইউনিয়ন গুলোতে মাদকমুক্ত সভা করার প্রয়োজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল আহমেদ, চাঁদপুর মডেল থানার অসি ওয়ালী উল্লাহ অলী, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কমিউনিটি পুলিশ সিপিও হারুন আর রশিদ।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১: ৫০ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur