৬৫ বছর বয়সী মো. সিদ্দিকুর রহমান। জীবন সংগ্রামে অনেক হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে, বয়সের ভারে তিনি এখন অনেকটা নুব্জ্য হয়ে পড়েছেন। পাচ্ছেন বয়স্কভাতাসহ সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা।
পুত্র সন্তানহীন ৫ মেয়ে ও স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য জীবনের এ শেষ বয়সেও তাকে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
কিন্তু শরীরে শক্তি না থাকায় যে কোন কাজই যেন তার কাছে অসাধ্য। পরিশ্রমের কাজ করতে না পারায় বাধ্য হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো কচুয়ায় বিক্রি করে কোন রকমে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন।
তারপরেও পত্রিকা বিলিকারক সিদ্দিকুর রহমানের দুঃখের শেষ নাই। কেননা এ বয়সে আগের মতো কাজ করতে না পারা ও সংসারে হাল ধরার মতো পুত্র সন্তান না থাকায় প্রায় দিন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয় তাকে।
কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের কাপিলাবাড়ী গ্রামের অধিবাসী হতদরিদ্র মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘বর্তমানে ৫ মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে ছোট্ট একটি কুটিরে বসবাস করছি। অতিকষ্টে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। অন্য মেয়েরা স্কুলে পড়া লেখা করছে। সহায় সম্পত্তি না থাকায় ভাঙ্গা একটা ঘরে উপযুক্ত মেয়েদের নিয়ে বসবাস করে আসছি।’
দাবি করে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ বয়স্কভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাই না বর্তমান সরকার গরীব দুঃখি মানুষের উন্নয়নের সরকার। বর্তমান সরকার যদি আমাকে একটি গৃহ নির্মাণের সহায়তা করেন। তাহলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কোন রকমে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবো।’
প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ৫৯ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur