শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, চলতি অর্থ বছরে সারাদেশে সাড়ে ১৯ হাজার স্কুলভবন নির্মিত হবে। উপজেলা পর্যায়ে চারতলা, জেলা পর্যায়ে আটতলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দশতলা ভবন নির্মিত হবে।
তিনি বলেন, এসব ভবন উন্নত হবে, পানি থাকবে, টয়লেট থাকবে, প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধার ব্যাবস্থা থাকবে। ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সদস্য সন্তানদের প্রাইমারি এডুকেশন কমপ্লিশন (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় উর্ত্তীণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী সংগঠনের সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সন্মাননা পত্র, ক্রেস্ট, বই ও নগদ অর্থ বৃত্তি তুলে দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঢাকা টাইমস ২৪ডট কমের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০১৬ সালে পাস করা পিইসি’র ২৮ জন এবং জেএসসি’র ১৮ জনসহ মোট ৪৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আবু দারদা যোবায়ের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও অভিভাবক শাবান মাহমুদ, অভিভাবকদের পক্ষে সিনিয়র সাংবাদিক শাহ নেওয়াজ দুলাল প্রমুখ।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেয়ার মতো দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সাধারণ জ্ঞান অনেক। তারা বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। আজকের জগৎ উন্মুক্ত, তাই বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জন করলে তারা বিশ্বের যেকোন স্থানে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিশুকে স্কুলে নাম লেখাতে পেরেছি, এবছর ৩৬ কোটির বেশি বই প্রদান করেছি। শিক্ষার মান আগের থেকে বাড়লেও আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। যার পূর্বশর্ত হচ্ছে গুণগত মানের শিক্ষক।
শিক্ষকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন কিছু শিক্ষক আছে যারা গোটা জগতের শিক্ষকদের সুনাম নষ্ট করছে। তারা স্কুলে না পড়িয়ে বাসায় পড়াচ্ছে। আবার টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীকে প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছে। যারা এখনো এ ধরনের কাজ করছে তারা আর এই পেশায় থাকতে পারবেন না। তবে অনেক বাবা আবার সন্তানকে প্রশ্ন এনে দেন। এই প্রবণতাও বন্ধ করতে হবে, বাবা-মাকে সচেতন করতে হবে’।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮ : ১১ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৭, শুক্রবার
এইউ