ফরিদগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রূপসা বাজারের বেহাল দশা,দেখার যেন কেউ নেই। জানা যায়,বৃটিশ শাসন আমলে মেঘনা পূর্ব পাড়ের জমিদার মরহুম খাঁন বাহাদুর আবদুর রশিদ চৌধুরী বাজারটির গোড়াপত্তন করেন।
এলাকার প্রবীন লোকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বাজারটিতে তৎকালীন সময়ে বহু দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ পাট,ধান,নারিকেল,তাল,সুপারী ও আখ প্রভৃতি কৃষিপণ্য এ বাজারটিতে বিক্রির জন্যে নিয়ে আসতো।
কালের বিবর্তনে এখন ঐ সব দ্রব্য সামগ্রী বর্তমান সময়ে ইতিহাস হয়ে আছে। বাজারটিতে রয়েছে ১ হাজারের ও বেশি দোকান-পাট। বাজারের চতুর্দিকে রাস্তা খানা খন্দকে ভরে আছে। বাজারটিতে পয়:নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি ও কাদায় বাজারের রাস্তা একাকার হয়ে যায় ।
কোনো কোনো স্থানে নজর দিলে বুঝা যায় মনে হয় যেন কেউ খাল কেটে রেখেছে । বাজারটিতে রয়েছে দ’ুটি পাবলিক টয়লেট তাও আবার জরাজীর্ণ অবস্থায় অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। বাজারে আগত ব্যবসায়ী ও দোকানদারগণ জমিদার বাড়ির মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করতে হয় যার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে।
এ সকল সমস্যার কারণে দূর-দূরান্তের লোকজন বাজারটিতে আসা যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বাজার ব্যবসায়ীরা এ প্রতিনিধিকে আলাপ চারিতায় বলেন, চেয়ারম্যান আসে চেয়ারম্যান যায় কিন্তু রূপসা বাজারের চিত্র আর বদল হয় না। বর্তমান বঙ্গাব্দে বাজাটির টোল আদায়ের জন্য ২৭ লাখ টাকা ধার্য হয়। যাহা চাঁদপুররের যে কোনো গ্রাম্য বাজারের উর্ধ্বে। এত বেশি রাজস্ব জেলার কোনো বাজারই প্রদান করা হয় বলে কারো জানা নেই ।
দুঃখজনক হলেও সত্য বাজার উন্নয়নমূলক কোনো কাজই হচ্ছেনা।এসব অব্যবস্থপনা ও উন্নয়ন না হওয়ার ব্যাপারে রূপসা উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন,‘অচিরেই বাজার উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।’
রূপসা বাজার উন্নয়নের ব্যাপারে ফরিদগঞ্জের নির্বাহী অফিসার ড.শহিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘ রূপসা বাজারের ৩ বছরের উন্নয়ন খাতের টাকা জমা আছে। এম পি মহোদয়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রকৌশল বিভাগ কাজ শুরু করবে।’
বাজার ব্যবসায়ীদের দাবি উন্নয়নের কাজগুলো যেন পরিকল্পিত ভাবে করা হয়।
সংবাদ প্রেরক: শফিউল আলম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:১৫ পিএম, ২১ জুন ২০১৭, বুধবার
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur