নড়াইলের মেয়েরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছে । নড়াইল সদর উপজেলায় এখন নিয়মিত দেখা যায় এ দৃশ্য। মা বাবার থেকে ভাড়ার জন্য নিতেও হয়না টাকা। তাই দূর থেকে আসা স্কুলে ছাত্রীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে নিয়মিত ।
বাল্য বিবাহ,ইভটিজিং,নারী নির্যাতন সহ সকল বাধা দূর করে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ের কথা জানায় নড়াইলের মেয়েরা।
নড়াইল সদর ও যশোরের বাঘাপাড়া উপজেলার সিমান্তবর্তী ১১ টি গ্রামের মেয়েরা নিয়মিত পড়াশুনা করে শহরের ১৫ কি.মি. থেকে দূরে গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ছেলেরা স্কুলে আসার জন্য সাইকেল ব্যবহার করলেও মেয়েরা আসতো ভ্যানে অথবা পায়ে হেঁটে।
দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে ক’ বছর আগে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকেরা মেয়েদেরকে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেয়। এ উৎসাহের জন্য পাল্টে যায় নড়াইলে স্কুলগামী মেয়েদের যাতায়াতের পুরো চিত্র।
৪ বছর আগে যেখানে মাত্র ক’জন ছাত্রী সাইকেলে করে যাতায়াত করতো সেখানে বর্তমানে সাইকেল ব্যবহার করে দেড়শত মেয়ে। তবে শুধু নিজেই নয় সাথে বান্ধবী অথবা ছোট বোনকে সাইকেলের পিছনে নিয়ে স্কুলে যায় মেয়েরা। তবে এ নিয়ে গ্রামের অনেকে প্রথমে বিরুপ মন্তব্য করলেও এখন পুরো ব্যপারটি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
এ সম্পর্কে এক স্কুল ছাত্রী বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ কি.মি সাইকেল চালিয়ে স্কুলে উপস্থিত হই। আর বাইসাইকেলের কারণে আমাদের অনেক সময় বেচে যায়।’
গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ‘ছেলে মেয়েদের মধ্যে আলাদা করে কিছু দেখার নেই। তারা আমাদের কাছে সমান। তাই আমরা তাদের কে সমান ভাবেই অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকি ।’
সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাবে এই গ্রামের মেয়েরা এমটাই আশা করেন স্কুল শিক্ষক ও অভিভাবকরা। (সূত্র: ডিবিসি)
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:১৫ পিএম, ১৯ জুন ২০১৭, সোমবার
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur