চাঁদপুরের জেলার হরিণা ফেরীঘাট এলাকাটি মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়েছে বহুবার। অথচ এখনো পর্যন্ত সরকার ভাঙন কবলিত ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে কোনো ব্যাস্থা গ্রহণ করেনি।
এতে ওই এলাকা কয়েকশ’ পরিবার ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েক দফা ভাঙনে বিস্তৃর্ণ ওই গ্রামে বহু বাড়িঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে নদীপাড়ের মানুষগুলো অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
খোজ নিয়ে দেখাযায়, বর্ষার শুরুতেই আবারো হরিণা ফেরিঘাটটি আবরো ভাঙনের মুখে রয়েছে। কাল বৈশাখের- ঝড়ো বাতাসে ফুঁসে ওঠা মেঘনার উত্তাল ঢেউ আঘাত হানছে নদীর তীরবর্তী ওই স্থানে। ফলে সেখানে বসানো বালুভর্তি জিও ব্যাগগুলো আস্তে আস্তে খসে পড়ছে। এছাড়াও ফেরীঘাটে ভারী যানবাহন উঠা-নামায় চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে হরিণাঘাট এলাকাবাসী জানান, বহু বছর ধরে এই এলাকাটি মেঘনার ভাঙনের শিকার হচ্ছে। অথচ সরকার চাঁদপুরের মেঘনা তৃরবর্তী বিভিন্নস্থানে ভাঙন প্রতিরোদে এ পর্যন্ত ৩শ’ কোটি টাকার কাজ করলে ও হরিণাঘাট স্থায়ী ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। মাঝে মধ্যে বালুর বস্তা ফেলে কিছুটা ভাঙন ঠেকানো হলেও চলতি শুষ্ক মওসুমে হরিণা মাছঘাট, ফেরিঘাট থেকে দক্ষিণ থেকে দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এখানে সিসি ব্লকের কাজ করা না হলে হরিণা ঘাটের প্রাচীন স্কুলটি সরিয়ে নেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এছাড়াও ফেরিঘাট মসজিদ ও মাদরাসাটি যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, এখানে বর্তমানে এখানে ব্লকের বাঁধ দেয়া অপরিহার্য। অতিশীগ্রই ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিয়ে ফেরিঘাটসহ গোবিন্দিয়া গ্রামটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ভাঙনরোধে এখানে সিসি ব্লকের বাঁধ না দিলে হরিণা ফেরিঘাট রক্ষা করা যাবে না। ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা প্রয়োজন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সার্ভে রিপোর্টসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। একনেকে প্রকল্পটির এখনো অনুমোদন মিলেনি। এ কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হরিণাঘাট মেঘনার ভাঙন থেকে রা প্রকল্পটি ঝুলে আছে।
আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ০০ এএম, ১৭ জুন ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ